বেজায় ঝাঁকুনি দিয়ে আচানক কেমন
আজব ক’টি কণ্ঠস্বর আমার
নৈশ ঘুম ভাঙিয়ে দিলো। ডানে বামে তাকিয়ে
দেখি ঘরের কোথাও কেউ নেই। শুধু নিস্তব্ধ
থমথমে আঁধার যেন কালো দৃষ্টি ছড়িয়ে
আমার সত্তায় হয়তো কিছু বলতে চায়।
কী কথা অন্ধকারের চোখে? তার চিন্তায়? খানিক
পরেই দেয়ালে ঝুলতে দেখি
জনৈক সুন্দরীর মুখ। বিস্ময় অস্তমিত
না হতেই রূপসীর কণ্ঠস্বর ভ্যাবাচ্যাকা-খাওয়া আমাকে
জড়িয়ে ধরে উচ্চারণ করে, ‘হায় কবি, সাতটি
বসন্ত কাটতেই আমাকে বিস্মৃতির ধুলোয় ছুড়ে দিলে?
স্তম্ভিত বাক্যহারা আমি কিছু বলার চেষ্টা
করতে না করতেই সুন্দরী হাওয়ায় মিলিয়ে গেলো
অজানা কোথায়। ঘরের আলো
জ্বালাবো কি জ্বালাবো না ভাবতে না ভাবতে
কতিপয় অদৃশ্য নারী পুরুষের মিলিত হাসি সুরের
সৃষ্টি করে আমার সত্তায় ঘুমের আমেজ
ছড়িয়ে দিলো। আমি অজান্তেই আলিঙ্গনে বাঁধতে
চাইলাম যেন কাকে। শূন্যতাকে? আমাকে জড়িয়ে ধরে হাওয়া।
১৩.১২.২০০৪