১ প্রভুর প্রশংসা কর! প্রভুকে ধন্যবাদ দাও কারণ তিনি মঙ্গলময়! ঈশ্বরের প্রেম চিরন্তন!
২ ঈশ্বর য়ে প্রকৃতপক্ষে কত মহান তা কেউই বর্ণনা করে বলতে পারবে না। কোন ব্যক্তিই ঈশ্বরের য়থেষ্ট প্রশংসা করতে পারে না।
৩ যারা ঈশ্বরের নির্দেশ মানে তারা সুখী হয়। ওই সব লোক সর্বদাই ভালো কাজ করে।
৪ হে প্রভু, যখন আপনি আপনার লোকদের দয়া করবেন, তখন আমার কথা স্মরণে রাখবেন। যখন আপনি আপনার লোকদের রক্ষা করবেন তখন আমায় মনে রাখতে ভুলে যাবেন না।
৫ আপনার পছন্দ করা লোকদের জন্য আপনি য়ে সব ভালো কাজ করেন, আমাকেও তার অংশীদার হতে দিন। আপনার জাতির সঙ্গে আমাকেও আনন্দ করতে দিন। আপনার লোকদের সঙ্গে আমাকেও আপনার প্রশংসা করতে দিন।
৬ য়েমন ভাবে আমাদের পূর্বপুরুষরা পাপ করেছে, আমরাও তেমন ভাবেই পাপ করেছি। আমরা ভুল করেছি। আমরা গর্হিত কাজ করেছি!
৭ হে প্রভু, মিশরে আপনি য়ে সব অলৌকিক কাজ করেছিলেন তা থেকে আমাদের পূর্বপুরুষরা কিছুই শেখেনি। তারা আপনার ভালবাসা ও দয়া মনে রাখে নি। লোহিত সাগরের ধারে, আমাদের পূর্বপুরুষরা, আপনার বিরুদ্ধাচরণ করেছিল।
৮ কিন্তু তাঁর পবিত্র নামের মহিমার জন্য ঈশ্বর তাদের রক্ষা করেছিলেন। তাঁর মহত্ শক্তি প্রদর্শনের জন্য ঈশ্বর ওদের রক্ষা করেছিলেন।
৯ ঈশ্বর আজ্ঞা দিয়েছিলেন এবং লোহিত সাগর শুকিয়ে গিয়েছিলো। শুকনো মরুভূমি দিয়ে চলার মত, তিনি আমাদের পূর্বপুরুষদের সমুদ্রের গভীরতার ভেতর দিয়ে ডাঙায নিয়ে গিয়েছিলেন।
১০ ঈশ্বর আমাদের পূর্বপুরুষদের শত্রুদের হাত থেকে আমাদের বাঁচিয়েছিলেন! তাদের শত্রুদের হাত থেকে ঈশ্বর তাদের উদ্ধার করেছিলেন।
১১ ঈশ্বর সমুদ্র দ্বারা ওদের শত্রুদের আবৃত করেছিলেন! ওদের একজন শত্রুও পালাতে পারে নি!
১২ তারপর আমাদের পূর্বপুরুষরা ঈশ্বরকে বিশ্বাস করেছিলেন। তাঁরা তাঁর প্রশংসা করেছিলেন।
১৩ কিন্তু ঈশ্বর যা করেছিলেন, আমাদের পূর্বপুরুষরা খুব তাড়াতাড়ি তা ভুলে গিয়েছিলেন। তাঁরা ঈশ্বরের পরামর্শের জন্য অপেক্ষা করেন নি।
১৪ আমাদের পূর্বপুরুষরা মরুভূমিতে ক্ষুধার্ত হয়েছিলেন। উষর প্রান্তরে তাঁরা ঈশ্বরকে পরীক্ষা করেছিলেন।
১৫ কিন্তু আমাদের পূর্বপুরুষরা যা চেয়েছিলেন, ঈশ্বর ওদের তাই দিয়েছিলেন। কিন্তু ঈশ্বর ওঁদের এক ভযাবহ রোগও দিয়েছিলেন।
১৬ পবিত্র শিবিরে লোকরা বিশ্বস্ত রইল এবং মোশি ও হারোণের প্রতি তাদের উদ্যম দেখাল।
১৭ কিন্তু দাথন এবং অবীরামের গোষ্ঠীর দিকে মাটি দ্বিধাবিভক্ত হল, তাদের গিলে ফেলল এবং ঢেকে দিল।
১৮ তারপর এক আগুনের হল্কা সেই জনতাকে পুড়িয়ে দিলো। তারপর আগুন সেই সব দুষ্ট লোকদের পুড়িয়ে দিলো।
১৯ হোরেব পর্বতে তারা একটা সোনার বাছুর তৈরী করেছিল। তারা সেই মূর্ত্তিকে পূজো করেছিলো।
২০ এই ভাবে তৃণগ্রাসী বলদ মূর্ত্তির সঙ্গে ওদের মহিমাময় ঈশ্বরের আদান-প্রদান করেছিলো!
২১ ঈশ্বর আমাদের পূর্বপুরুষদের রক্ষা করেছিলেন! কিন্তু তাঁরা তাঁকে সম্পূর্ণ ভুলে গিয়েছিলেন। মিশরে য়ে ঈশ্বর বিরাট অলৌকিক কাজ করেছিলেন, তাঁকে তাঁরা ভুলে গেলেন।
২২ হামের দেশে ঈশ্বর আশ্চর্য়্য় কার্য়্য় করেছিলেন। লোহিত সাগরের ধারে ঈশ্বর ভয়ঙ্কর কাজ করেছিলেন।
২৩ ঈশ্বর ওসব লোককে ধ্বংস করতে চেয়েছিলেন। কিন্তু মোশি, যাকে তিনি মনোনীত করেছিলেন তিনি ঈশ্বরকে নিরস্ত করেন। ঈশ্বর ভীষণ ক্রুদ্ধ হয়েছিলেন, কিন্তু মোশি পথ রোধ করে দাঁড়ান তাই ঈশ্বর সেইসব লোকদের আর ধ্বংস করেন নি।
২৪ কিন্তু তারপর এই সব লোক কনানের চমত্কার রাজ্য়ে প্রবেশ করতে অস্বীকার করে। ওরা বিশ্বাস করেনি য়ে, ওই দেশে (কনানে) বসবাসকারী মানুষদের পরাজিত করতে ঈশ্বর ওদের সাহায্য করবেন।
২৫ আমাদের পূর্বপুরুষরা ঈশ্বরের বিরুদ্ধে ক্ষোভ করতে তাঁবুর ভেতরে রয়ে গিয়েছিলেন। তাঁরা প্রভুর কন্ঠস্বর শুনতে অস্বীকার করেছিলেন।
২৬ তাই ঈশ্বর প্রতিশ্রুতি করেছিলেন য়ে তাঁরা মরুভূমিতে মারা যাবেন।
২৭ ঈশ্বর প্রতিশ্রুতি দিয়েছিলেন য়ে, তিনি অন্য লোকদের তাদের উত্তরপুরুষদের পরাজিত করতে দেবেন। ঈশ্বর প্রতিশ্রুতি দিয়েছিলেন য়ে, আমাদের পূর্বপুরুষদের তিনি বিভিন্ন জাতিদের মধ্যে ছড়িয়ে দেবেন।
২৮ তারপর, বাল-পিযোরে, ঈশ্বরের লোকরা বাল মূর্ত্তির পূজা করায য়োগ দিয়েছিলো। ঈশ্বরের লোকরা জংলী দলটিতে য়োগ দিয়েছিলো এবং মৃত লোকের সম্মানে উত্সর্গ করা বলি আহার করেছিলো।
২৯ ঈশ্বর তাঁর লোকদের প্রতি ভীষণ ক্রুদ্ধ হয়েছিলেন এবং তিনি তাদের ভীষণ অসুস্থ করে দিয়েছিলেন।
৩০ কিন্তু পীনহস ঈশ্বরের কাছে প্রার্থনা করেছিলো এবং ঈশ্বর অসুস্থতা রদ করেছিলেন।
৩১ ঈশ্বর জানতেন য়ে পীনহস খুব ভালো একটা কাজ করেছিলো। ঈশ্বর সেটা চিরদিন, অনন্তকালের জন্য স্মরণে রাখবেন!
৩২ মরাবীর কাছে লোকজন প্রচণ্ড ক্রোধান্বিত হল। তারা মোশিকে দিয়ে কিছু কু-কাজ করালো।
৩৩ কারণ ওই লোকরা মোশিকে ভীষণ বিমর্ষ করে তুললএবং সে কিছু চিন্তা-ভাবনা না করেই কথা বলল।
৩৪ ঈশ্বর তাঁর লোকদের কনানে অন্য জাতিসমূহ যারা বাস করছিল তাদের ধ্বংস করে দিতে বললেন। কিন্তু ঈস্রাযেলের লোকরা ঈশ্বরের কথা মান্য করে নি!
৩৫ তারা অন্য জাতিগুলোর সঙ্গে মেলামেশা করেছিল এবং তারা যা করত ওরা তাই করতে শিখেছিল।
৩৬ ওই লোকগুলো ঈশ্বরের লোকদের জন্য ফাঁদের মতই ভয়ঙ্কর হল। ঈশ্বরের লোকরাও সেইসব মূর্ত্তিসমূহের পূজা করতে শুরু করলো যাদের ওরা পূজা করত।
৩৭ এমনকি ঈশ্বরের লোকেরা তাদের সন্তানদের পর্য়ন্ত হত্যা করেছিলো এবং ওই দানবদের কাছে উত্সর্গ করেছিলো।
৩৮ ঈশ্বরের লোকরা নিস্পাপ লোকদের হত্যা করেছিলো। ওরা ওদের নিজেদের সন্তানদেরও হত্যা করেছিলো এবং তাদের মূর্ত্তিসমূহের উদ্দেশ্যে উত্সর্গ করেছিলো।
৩৯ তাই অন্য লোকদের পাপে ঈশ্বরের লোকরা অপবিত্র হয়ে উঠেছিল। ঈশ্বরের লোকরা তাদের ঈশ্বরের কাছে অবিশ্বাসী হয়ে উঠেছিলো এবং অন্য লোকরা যা করতো ওরাও তাই করতে শুরু করেছিল।
৪০ ঈশ্বর তাঁর লোকজনের ওপরে চটে গেলেন। তাদের ব্যাপারে ঈশ্বর ক্লান্ত হয়ে গেলেন!
৪১ ঈশ্বর তাঁর লোকদেরকেউ চায় নি এমন কিছুতে পরিবর্তন করে দিলেন। ঈশ্বর ওদের শত্রুদের দিয়ে ওদের শাসন করালেন।
৪২ ঈশ্বরের লোকদের শত্রুরা ওদের দাবিয়ে রাখলো এবং তাদের নিজেদের ক্ষমতার মধ্যে রাখলো।
৪৩ ঈশ্বর তাদের বহুবার রক্ষা করেছিলেন কিন্তু তারা ঈশ্বরের উপদেশের বিরুদ্ধে বিদ্রোহ করেছিল।অতএব, এই কারণে লোকদের সম্মানে খাটো করা হয়েছিল।
৪৪ কিন্তু ঈশ্বরের লোকরা যখনই সমস্যায় পড়েছে ওরা সাহায্যের জন্য ঈশ্বরকে ডেকেছে এবং প্রত্যেকবারই ঈশ্বর ওদের প্রার্থনা শুনেছেন।
৪৫ ঈশ্বর সর্বদাই তাঁর চুক্তির কথা স্মরণে রেখেছিলেন এবং তাঁর মহত্ প্রেম দিয়ে তিনি সর্বদাই ওদের স্বস্তি দিয়েছিলেন।
৪৬ অন্য জাতিরা ওদের বন্দী হিসেবে নিয়ে গিয়েছিলো। কিন্তু তাঁর লোকদের প্রতি ওদের সদয় করেন।
৪৭ হে প্রভু, আমাদের ঈশ্বর, আমাদের রক্ষা করুন! আমাদের অন্য সব জাতি থেকে ফিরিয়ে নিয়ে আসুন যাতে আমরা আপনার পবিত্র নামের প্রশংসা করতে পারি এবং বন্দনা গান করে আপনাকে সম্মান করতে পারি।
৪৮ ইস্রায়েলের প্রভু ঈশ্বরের বন্দনা কর। ঈশ্বর চির বিরাজমান এবং তিনি চিরদিন বিরাজিত থাকবেন। সব লোকরা বলল, “আমেন! প্রভুর প্রশংসা কর!”