শুরুতেই বাগানটা পরিষ্কার করা প্রয়োজন;
বড় বেশি উপেক্ষিত ছিল
এতকাল, চতুর্দিক আগাছায় ভরে
আছে, ফুল ঢাকা পড়ে গ্যাছে কাঁটাবনে
আর পশুদের
বিষ্ঠায় দুর্গন্ধময় মাটি। পাখিরা ভুলেও
আসেনি এখানে আর এলেও কখনো গলা খুলে
গায়নি মধুর গান; সন্ত্রাসের ভয়ে
পালিয়েছে দূরে,
খুঁজেছে আশ্রয় মেঘে নীলিমার মৈত্রীর আশায়।
কোদাল, খুরপির ঘায়ে আগাছা উপড়ে ফেলে দিলে
বাগানের মুখশ্রী আসবে ফিরে, নানা
পুষ্প বিকাশের সুরে দুলে
উঠবে আবার, কাঠবিড়ালিরা রোদ
পান করে বুঁদ হয়ে গাছের ছায়ায়
খুঁজবে রূপালির স্বপ্নে ইতস্তত সোনালি বাদাম। ময়ূরের
নাচ দেখে মেঘ
নিমেষে হাসিতে ভেসে পৌঁছে
যাবে দিগন্তের ঘাটে। নিঃসঙ্গ তরুণ
বাঁশের বাঁশির সুরে গোধূলিতে রঙ
ছিটিয়ে চৌদিকে ক্লান্ত হাতে
মাথা রেখে ডুবে যাবে নিদ্রার পাতালে।
ঝকঝকে বাগানের গাছের পাতারা
আনন্দমেলায় সমবেত
শিশুদের মতো দ্যাখো কেমন উচ্ছল। কোটি কোটি
হাত বাগানকে আরো সুন্দর রাখার
বাসনায় আগাছা নিড়ায়, জল ঢালে
শত চারাগাছের গোড়ায়,
ছেঁটে ফেলে নিষ্প্রভ অসুস্থ পাতাদের, সূর্যোদয়ে
সোৎসাহে রচনা করে মাইল মাইলব্যাপী বৃক্ষরাজি আর
ঘন সবুজের আর ফুল পাখিদের,
সর্বমানবের প্রীতি, মেধা আর মননের গাথা।
কোটি কোটি চোখ
নতুনের স্বপ্নে খুব ডাগর উৎসব। আগামীর
নামে রঙ বেরঙের প্রজাপতি উড়ুক বাগানে,
কোকিল করুক আজ বসন্তের বিশদ আবাদ।