ঘোর অন্ধকারাচ্ছন্ন সন্ধ্যা প্রভাতকে গ্রাস করতে উদ্যত,
তোমরা কি দেখছ না? দাঁতাল আঁধার মেতেছে পিশাচ-নৃত্যে, রক্ত-হোলি চলে
নিত্যদিন, অশুভের জয়োল্লাসে পাড়ায় পাড়ায়
ঘুম নেই কারও আজ। শুভবুদ্ধি চতুর্দিক থেকে
ভীষণ আক্রান্ত আর প্রতিক্রিয়ার হুঙ্কারে কাঁপে জনপদ।
তোমরা কি জান না এখন
তোমাদের চারপাশে শক্ররা জমায় ভিড় আর
চোখে ধুলো দিয়ে
নিয়ে যেতে চায় চোরাবালির দিকেই?
চেয়ে দেখ, হায়েনার দাঁত আর নেকড়ের থাবা
কেমন মোহন রূপে তোমাদের পথ
সহজে ভুলিয়ে নিয়ে অন্ধকূপে ঠেলে
দিচ্ছে আর তোমরা ভাবছ পৌঁছে যাবে
সব পেয়েছির দেশে। অথচ ভস্মের অন্ধ ঝড়
বইছে সেখানে আর অন্ধরাই চক্ষুষ্মানদের
পথ দেখাবার দায়িত্বের
তক্মা গলায় এঁটে পথ হাতড়ে বেড়ায় শুধু
ধূ ধূ প্রান্তরের
ঠিকানাবিহীন সব পুরনো খোঁদলে।
যদি চাও বাঁচুক দোয়েল
পাপিয়া, কোকিল আর চঞ্চল রঙিন প্রজাপতি,
যদি চাও সুবাতাস বয়ে যাক এখানে সর্বদা
মেধা ও মননে না লাগুক গ্রহণ কখনও,
তাহ’লে নিরেট অন্ধত্বের হাতছানি
হেলায় উপেক্ষা করে মুক্তবুদ্ধি আর শুভ চেতনার সূর্যালোক যাও।