শেষ পঙ্ক্তি লিখে ফেলে এক পাশে কলমটা রেখে
মুক্তির নিশ্বাস নেন তিনি। একটু পরেই তার
সদ্যলেখা কবিতার দিকে দৃষ্টি যায়। মনে হলো,
শুরুটা হয়নি ঠিক, ফলে বাতিল সম্পূর্ণ পঙ্ক্তি।
আবার পছন্দসই শব্দগুচ্ছ পেতে কেটে যায় বেশ কিছু
সময় এবং আরও দু’চারটি পরিবর্তনের
দুর্বার তাগিদ তাকে মৎস্য-শিকারির মতো টানা
প্রতীক্ষায় রাখে আর ধৈর্যের করাতে লগ্ন হয়ে
কত যে রক্তক্ষরণ হয় কে তার হিসাব রাখে?
তারপরও অতৃপ্তি কবিকে হিংস্র ঠোকরাতে থাকে।
জানলার কাছে এসে ক্লান্ত কবি ভাবে প্রতিটি
পঙ্ক্তিকে গাইতে হবে পাখির মতোন, তাহলেই
তৃপ্ত হবো আমি আর কবিতা নিশ্চিত খুঁজে পাবে
প্রকৃত রসিক। ‘এতকাল যা লিখেছি সবই আজ
কত তুচ্ছ পরিণামহীন মনে হয়’, বলে তিনি
পুনরায় লেখার টেবিলে যান, কলম চালান
সফেদ কাগজে; কিছুক্ষণ চলে কাটাকুটি, পরে
ঝর্ণাধারা হয়ে যায়, গড়ে ওঠে শব্দের প্রতিমা।