একটি হরিণ খুব নিরিবিলি বনের কিনারে চিত্রবৎ,
যেন সে অনন্তকাল আছে একই স্থানে শিঙের স্থাপত্য নিয়ে
রৌদ্রে ঝিলিক-লাগা চিকন ঘাসের টানে। নানারঙা পাখি
উড়ে এসে বসে ডালে, ডাকে মাঝে-মাঝে পুনরায় যায় চলে।
পুরাণের শাপগ্রস্ত দেবীর মতন মাটিবন্দি গাছগুলি
সেই কবে থেকে; বাতাসের চুম্বন বাকল ভেদ করে যায়
মর্মমূলে, প্রজাপতি ছড়ায় আবীর তার এখানে সেখানে।
মনে হয়, পৃথিবীর ক্ষয় তাকে পারবে না ছুঁতে কোনোদিন।
পানির স্তব্ধতা বুঝি জলবিন্দুময় জলকন্যার মতন
চুপিসারে বনের কিনারে উঠে এসেছে এবং জংলা পিঁপড়ে
ঘাসের ডগায় কিছু উষ্ণতা বদল ক’রে ব্যবসায়ীদের
ধরনের প্রস্থান করে। নিসর্গের অ্যালকোহলে হরিণ বুঁদ।
হরিণের নিজের চিত্রল ঘ্রাণ, যা নিভৃত ভাসমান গান,
এখুনি আনবে ডেকে হয়তো স্তব্ধতা-ছেদনকারী ধকধকে
অঙ্গারের মতো উপস্থিতি, শান্তির ফ্যাসাদময় বনস্থলী
হবে দীর্ণ আর্তনাদে, লাগবে রক্তের ছোপ ছিন্ন ঝোপঝাড়ে।