ওরা ক’জন যে ছিল রেস্তোরাঁর একটি টেবিলে
সেদিন, পড়ে না মনে। কেউ লম্বা, খর্বকায় কেউ,
মসৃণ কামানো কারো গাল, কারো মুখ যেন ঝোপ,
এক্ষুণি বেরিয়ে এলো বলে খরগোশ কিংবা পাখি।
একজন অনর্গল কথা বলে, অন্যজন বড়
বেশি চুপচাপ, কেউ মাথা নাড়ে ঘন ঘন, যার
পরনে পাঞ্জাবি তার বুঝি নস্যি নেয়ার অভ্যাস।
কেউ দ্রুত কী যে লেখে খুব ঝুঁকে, কেউবা টেবিলে
নিপুণ বাজায় তাল, কেউ শূন্য চায়ের বাটিতে
প্রাচীন রাজার বাড়ি দ্যাখে, রেস্তোরাঁয় অন্ধকার
ফুঁড়ে আফ্রোদিতি এলো ভেবে কেউ বারবার ওঠে
কাঠের চেয়ার ছেড়ে, কেউবা ভীষণ খিস্তি করে।
কারো দুঃখী মুখে ওড়ে এলোমেলো স্বপ্নভস্ম কত।
সময়ের হাতে সমর্পিত, বিচ্ছিন্নতা বোধে ক্ষিপ্ত
ওরা কী-যে বলাবলি করেছিল সেদিন সন্ধ্যায়
রেস্তোরাঁয়, মনে নেই শুধু মনে পড়ে প্রত্যেকেই
বলেছিল-সবাইকে যেতে হবে, কেন যেতে হবে?