এই যে শুনছেন , একা-একা সেই কবে থেকে
রাত্রি জেগে যে-জাল বুনছেন,
সেটা একটু একটু ক’রে কেটে ফেলছে
ইঁদুর। সেদিকে আপনার নজরই নেই আর
আপনার চোখে ঘুম নেই এক ফোঁটা,
অথচ নিঝুম আকাশের সিঁথিতে সূর্য পরিরে দিচ্ছে সিঁদুর।
এবার জালটা গুটিয়ে
অপেক্ষমাণ শয্যায় শুয়ে পড়ুন। নইলে রক্তের চাপ
যাবে বেড়ে, তেড়ে আসবে বীজাণুর ঝাঁক
আপনার অস্তিত্বের দিকে। তিনদিন আগে কাচা
গেঞ্জি ঘামে জ্যাবজেবে, দেখুন
কেমন ড্যাবডেবে চোখে তাকিয়ে আছে একটা পাখি।
এভাবে ঘুমকে দিলে ফাঁকি, যৌবন তো অকালে
কবেই গেছে অস্তাচলে, প্রাণ-ভোমরাকেও
হবে হারাতে। আপাতত চতুর আর চেষ্টাশীল
ইঁদুরটাকে তাড়াতে লেগে যান
আর রূপালি জালটা তুলে রাখুন সিন্দুকে।
পাড়ার পাঁচ নিন্দুকে উল্টোপাল্টা যা কিছুই রটাক,
দেবেন না কান, গান গেয়ে আর
জাল বুনে রুখে দিন বেবাক কুৎসা কেচ্ছার বান।
কিন্তু কী-যে হলো, আপনি নিজে
কেমন জড়িয়ে পড়ছেন নিজেরই জালে। ইঁদুরের
শ্রমকে তাচ্ছিল্যের ফুৎকারে উড়িয়ে
দৈর্ঘে-প্রস্থে বেড়ে চলেছে নকশাময় রূপালি জাল।
আপনি যত আটকা পড়ছেন তাতে,
ততই আপনার চোখে মুখে থইথই
করছে কিসের উদ্ভাসন। উইয়ের ঢিবিতে
আপাদমস্তক ঢাকা প’ড়ে কি
বাল্মীকির মুখমন্ডল ধারণ করেছিলো
এমন অনাবিল মঞ্জিমা??