একটু আগে কোথায় ছিলে? কোন নিবাসে?
নিছাদ ঘরে আস্তে-সুস্থে
বিঘৎ বিঘৎ জ্যোৎস্না যেমন
ভাসতে থাকে
স্মৃতির মতো একা একা,
তেমনি তুমি কোথাও বুঝি লুকিয়েছিলে।
টালি টালি, রঙিন টালি, সব টালিতে
রৌদ্রছায়া লেপ্টে থাকে,
হয়তো কিছু স্বপ্ন থাকে
ফাঁক-ফোকরে
তুমি কি সেই স্বপ্ন হয়ে
টালির রঙে মিশে ছিলে খুব আড়ালে?
রৌদ্ররাঙা মেঘে ছিলে? কিংবা ছিলে
দেশান্তরী পাখির বুকে?
হয়তো ছিলে আতর-হারা
শিশির ভেতর
কিংবা কোনো টেরাকোটায়
সুদূরতার সঙ্গী হয়ে মগ্ন ছিলে।
ত্র্যানেমিয়ায় কাতর কোনো নারীর চোখে,
জুয়োয় বন্দি একলা লোকের
উজাড় হা-হা বুক-পকেটে,
শুকনো ঠোঁটে
ঘুমিয়ে ছিলে নির্জনতায় হয়তো তুমি।
ট্যাংকে-বসা নানা রঙের পায়রাগুলো
উষ্ণ-কোমল পাখা থেকে
অনেক দামি বীজের মতো
তোমায় বুঝি
ঝরিয়ে দিল এই বিজনে।
পেলাম তোমায় আমার ত্বকে, শিরায় শিরায়।
একটু আগে ছিল না তো। কেমন করে
এই নিমেষে হলে তুমি?
দৈব দয়ায়? নাকি চতুর
শয়তানেরই
প্ররোচনায় জন্ম নিলে
অন্তরালে মূক কিশোরীর স্তনের মতো?
এই প্রহরে তুমি হলে আমার সাধের
অলৌকিকের ছোঁয়া-লাগা।
কয়েক কাঠা জমি জিরেত।
ভেতর ঘরের
জাদুকরের হাতের নড়ায়
উঠল সেজে থরে থরে রঙিন টালি।