যোব ৪২

১ তখন ইয়োব প্রভুকে উত্তর দিলেন। ইয়োব বললেন,
২ “প্রভু, আমি জানি আপনি সব কিছু করতে পারেন। আপনি পরিকল্পনা করেন, কোন কিছুই আপনার পরিকল্পনাকে পরিবর্তিত করতে বা রোধ করতে পারে না।
৩ প্রভু, আপনি এই প্রশ্ন করেছেন: ‘কে সেই অজ্ঞ লোক য়ে এমন বোকা বোকা কথা বলছে?’ প্রভু, আমি যা বুঝি নি আমি তা বলেছি। আমি সেই সব বিষয়ের কথা বলেছি য়েগুলো বুঝতে গেলে আমি বিস্ময়-বিহবল হয়ে যাই।
৪ “প্রভু, আপনি আমায় বলেছেন, ‘শোন ইয়োব, এখন আমি বলবো। আমি তোমাকে প্রশ্ন জিজ্ঞাসা করবো এবং তুমি আমাকে তার উত্তর দেবে।’
৫ প্রভু, অতীতে আমি আপনার সম্বন্ধে শুনেছিলাম, কিন্তু এখন আমার নিজের চোখে আমি আপনাকে দেখলাম।
৬ তাই, আমার জন্য আমি লজ্জিত। আমি ছাই ও ধূলার মধ্যে দুঃখের সঙ্গে আমার অপরাধ স্বীকার করছি।”
৭ ইয়োবের সঙ্গে কথা শেষ করার পর, প্রভু তৈমন থেকে আসা ইলীফসের সঙ্গে কথা বললেন। প্রভু ইলীফসকে বললেন, “আমি তোমার প্রতি ও তোমার দুই বন্ধুর প্রতি রুদ্ধ হয়েছি। কেন? কারণ তোমরা আমার সম্পর্কে সঠিক কথা বলো নি। কিন্তু ইয়োব আমার সেবক এবং ইয়োব আমার সম্পর্কে সঠিক কথা বলেছে।
৮ তাই ইলীফস, এখন তুমি সাতটা বলদ ও সাতটা ভেড়া নাও। আমার সেবক ইয়োবের কাছে তা নিয়ে যাও। ওদের হত্যা কর এবং তোমাদের জন্য হোমবলি হিসেবে উত্সর্গ কর। আমার সেবক ইয়োব তোমাদের জন্য প্রার্থনা করবে এবং আমি তার প্রার্থনার উত্তর দেবো। তাহলে তোমাদের যা শাস্তি প্রাপ্য তা আমি দেব না। তোমাদের শাস্তি পাওয়া উচিত্‌ কারণ তোমরা ভীষণ নির্বোধ। তোমরা আমার সম্পর্কে সঠিক কথা বলনি। কিন্তু আমার সেবক ইয়োব আমার সম্পর্কে সঠিক কথা বলেছে।”
৯ তখন তৈমনীয় ইলীফস, শূহীয় বিল্দদ এবং নামাথীয় সোফর প্রভুর আদেশ পালন করলেন এবং তারপর ইয়োব তাঁদের জন্য য়ে প্রার্থনা করেছিলেন, প্রভু তার উত্তর দিলেন।
১০ ইয়োব তাঁর বন্ধুদের জন্য প্রার্থনা করলেন। প্রভু ইয়োবকে আবার সাফল্য দিলেন। ইয়োবের যা ছিলো, ঈশ্বর তাকে তার দ্বিগুণ দিলেন।
১১ তখন ইয়োবের সব ভাইবোন এবং অন্য সবাই যারা ইয়োবকে জানতো, তারা তাঁর বাড়ীতে এলো। তারা ইয়োবকে সান্ত্বনা দিলো, প্রভু য়ে ইয়োবকে এত কষ্ট দিয়েছেন তার জন্য তারা দুঃখিত হল। প্রত্যেকে ইয়োবকে এক টুকরো করে রূপোও একটি করে সোনার আংটি দিল।
১২ শুরুতে ইয়োবের যা ছিলো, তার থেকে অনেক বেশী সম্পদ দিয়ে প্রভু ইয়োবকে আশীর্বাদ করলেন। ইয়োব ১৪,000 মেষ, ৬,000 উট, ২,000 গাভী এবং ১,000 স্ত্রী গাধা পেলেন।
১৩ ইয়োব সাত পুত্র এবং তিন কন্যাও পেলেন।
১৪ ইয়োব প্রথম কন্যার নাম রাখলেনয়িমীমা। দ্বিতীয় কন্যার নাম রাখলেন কত্‌সীয়া এবং তৃতীয় কন্যার নাম রাখলেন কেরণহপপূক।
১৫ ইয়োবের কন্যারা সারা দেশের মধ্যে সব চেয়ে সুন্দরী নারী ছিল। ইয়োব তাঁর সম্পত্তির একটি অংশ তাঁর কন্যাদের দিলেন- ওরা ওদের ভাইদের মতোই সম্পত্তির অংশ পেল।
১৬ তখন ইয়োব, আরও ১৪০ বছর বেশী বেঁচে ছিলেন। তিনি তাঁর সন্তানদের চারটি প্রজন্ম দেখবার জন্য বেঁচে ছিলেন।
১৭ ইয়োব খুব বৃদ্ধ বয়সে মারা গেলেন।