ওল্ড স্টেটমেন্ট
নিউ স্টেটমেন্ট
1 of 2

যোব ১০

১ আমি আমার নিজের জীবনকে ঘৃণা করি। আমি নিঃসঙ্কোচে অভিয়োগ করবো। আমার আত্মা বীতশ্রদ্ধ হয়ে আছে তাই এখন আমি একথা বলবো।
২ আমি ঈশ্বরকে বলবো: ‘আমায় দোষ দেবেন না! আমায় বলুন, আমি কি ভুল করেছি? আমার বিরুদ্ধে আপনার কি কোন অভিয়োগ আছে?
৩ ঈশ্বর, আমাকে আঘাত করে আপনি কি সুখী হন? মনে হচ্ছে, আপনি যা সৃষ্টি করেছেন তার প্রতি আমার কোন ভ্রূক্ষেপই নেই। কিংবা, মন্দ লোকরা য়ে ফন্দি আঁটে সেই ফন্দিতে আপনিও কি আনন্দিত হন?
৪ ঈশ্বর, আপনার কি মানুষের চোখ আছে? মানুষ য়ে ভাবে দেখে আপনিও কি সেই ভাবে দেখেন?
৫ আপনার জীবন কি আমাদের মতই ক্ষুদ্র? আপনার জীবন কি মানুষের জীবনের মতই ছোট? না। তাহলে আপনি কি করে বুঝবেন এটা কেমন?
৬ আপনি আমার দোষ দেখেন এবং আমার পাপ অন্বেষণ করেন।
৭ আপনি জানেন আমি নির্দোষ কিন্তু কেউই আমাকে আপনার ক্ষমতা থেকে বাঁচাতে পারবে না!
৮ ঈশ্বর, আপনার হাতই আমায় তৈরী করেছে এবং আমার দেহকে রূপদান করেছে। কিন্তু এখন আপনি চারদিক থেকে ঘিরে আমায় গিলে ফেলতে বসেছেন।
৯ ঈশ্বর, স্মরণ করুন, আপনি আমাকে কাদা দিয়ে বানিয়ে ছিলেন। আপনি কি আবার আমাকে ধূলিতে পরিণত করবেন?
১০ আপনি আমাকে দুধের মত ঢেলে দিয়েছিলেন এবং আমাকে, ঘন করে ছানার মত আকার দিয়েছেন।
১১ আপনি আমার হাড় ও পেশী একত্রিত করেছেন। তারপর আপনিই চামড়া ও মাংস দিয়ে তা আবৃত করেছেন।
১২ আপনিই আমাকে জীবন দিয়েছেন এবং আমার প্রতি সদয ছিলেন। আপনি আমার যত্ন নিয়েছেন এবং আমার আত্মার প্রতি যত্ন নিয়েছেন।
১৩ কিন্তু, এ সবই আপনি মনে মনে করেছেন, আমি জানি, এই সব পরিকল্পনাই আপনি গোপনে করেছেন। হ্যাঁ, আমি জানি, আপনার মনে এই ছিলো।
১৪ যদি আমি পাপ করি, আপনি তা লক্ষ্য করবেন এবং ভুল করার জন্য আপনি আমায় শাস্তি দেবেন।
১৫ যদি আমি পাপ করি, আমি য়েন দুঃখ পাই! কিন্তু যদিও আমি নির্দোষ তবু আমি আমার মাথা তুলতে পারি না। আমি এতই লজ্জিত ও আহত।
১৬ যদি আমার কোন সফলতা থাকতো ও আমি গর্ব করতে পারতাম তাহলে য়েমন করে এক জন শিকারী সিংহ শিকার করে, তেমনি করে আপনি আমায় শিকার করতেন। আমার বিরুদ্ধে আবার আপনি আপনার ক্ষমতা প্রদর্শন করতেন।
১৭ আমি য়ে ভুল করেছি, এটা প্রমাণের জন্য আপনি নতুন সাক্ষী নিয়ে আসেন। বার বার নানা ভাবে আপনি আমার প্রতি রাগ প্রদর্শন করবেন, আমার বিরুদ্ধে একের পর এক সৈন্যদল পাঠাবেন।
১৮ তাই, ঈশ্বর, কেন আমায় জন্মাতে দিয়েছিলেন? কেউ আমাকে দেখার আগেই আমি কেন মরলাম না!
১৯ তাহলে আমাকে কখনো বাঁচতে হত না। মাতৃগর্ভ থেকে আমাকে সরাসরি কবরে নিয়ে যাওয়া হত।
২০ আমার জীবন প্রায় শেষ হয়ে গেছে। তাই আমায় একা থাকতে দিন। আমার য়েটুকু অল্প সময় বাকী আছে, তা উপভোগ করতে দিন।
২১ য়েখান থেকে আমি আর ফিরব না সেই অন্ধকার ও মৃত্যুর জগতে প্রবেশ করার আগে আমার অল্প সময় আমাকে উপভোগ করতে দিন।
২২ য়ে স্থানে গেলে কেউ দেখতে পায় না সেই অন্ধকার, ছায়াচ্ছন্ন ও বিশৃঙ্খলার জগতে যাওয়ার আগে, আমার য়েটুকু অল্প সময় বাকী রযেছে তা আমায় উপভোগ করতে দিন। এমনকি সেই স্থানের আলোও অন্ধকারের মত তমসাময।”‘