মনুষ্যত্ব নিয়ত নিহত হচ্ছে মানুষের হাতে
কী দিনে কী রাতে
খোলা পথে এবং আকাশ-ছোঁয়া ফ্ল্যাটে। ঘোড়ামুখো কিছু লোক
চৌরাস্তায় অস্ত্র নিয়ে হৈ হল্লায় মেতে উঠে শোক
ছড়ায় নিরীহ কত ঘরে
খেলাচ্ছলে উত্তর দক্ষিণ পূর্ব পশ্চিম সর্বত্র রক্ত ঝরে
প্রায় অবিরাম; সব পাখি, প্রজাপতি,
ভ্রমর, মৌমাছি এ শহর ছেড়ে অতি
দুঃখে, হায়, নিয়েছে বিদায় শেষে। কেবল মানুষ
মনুষ্যত্ব হত্যা করে ঘন ঘন ওড়ায় ফানুস
খামখেয়ালের আর ভালোবাসা ধুলোয় লুটিয়ে,
খিস্তি খেউড়ের পুঁতিগন্ধময় ডোবায় ডুবিয়ে
নিজেদের আপাদমস্তক
অজ্ঞানের ঘন কুয়াশায় আঁকে সর্বনাশা ছক!
অনেকেই, মনে হয়, সদ্য কবরের কীটের উৎসব থেকে
বেরিয়ে এসেছে মুখ ঢেকে
কাদা, মাটি আর ঘাসে। ভয়ঙ্কর এইসব মুখ
বিভীষিকা ডেকে আনে; ভীষণ অসুখ
নিয়ে ওরা সত্তায় এবং চেতনায়
ভিষকের ভূমিকায় নিত্য অভিনয় করে যায়।
চতুর্দিকে মনুষ্যত্বহীন মানুষের
যান্ত্রিক মিছিল যাচ্ছে কোথায় জানে না কেউ কিছু।