খাটো সিগারেট ছুঁড়ে ফেলে দিয়ে শহরে হাঁটছি একা,
বুকের ভিতর স্পন্দিত ঢের অলীক কথার ঝাড়।
বড়ো রাস্তায় নেমেছে এখন ভীষণ অন্ধকার,
পার্শ্ববর্তী পথচারীকেও সহজে যায় না দেখা।
চেনা পথ আজ অচেনা ঠেকছে, গা ঘেঁষে দাঁড়ায় ভয়;
চম্কে তাকাই, কে যেন অদূরে সজোরে কড়াটা নাড়ে।
নীল পাহাড়ের অগম চূড়ায় নয়,
নয়কো অনেক হাঁস-ঝলসিত প্রাচীন হৃদের ধারে,
ল্যাম্পোষ্টের চূড়ায় লগ্ন একজন কালো লোক
হাতে নিলো তুলে এলোমেলো কিছু ইলেকট্রিকের তার।
আঁধারে দোকান, রাস্তা, মানুষ, যান, সব একাকার-
যেন কে ডাইনি নাড়ছে পাচন তেপান্তরের পারে!
একটু পরেই বড়ো রাস্তায় পাচন অন্ধকারে
কালো লোকটার যাদুকাঠিতেই ফুটলো আলোর চোখ,
যেমন হঠাৎ বিপুল সাড়ায় কবির অধীর মনে
না-লেখা কবিতা চোখ মেলে চায় নিবিড় উন্মীলনে।