অমন যমজ আলো মিলে যাবে তারাস্রোতে? নাকি
নাছোড় থাকবে লেগে দেয়ালে, ল্যাম্পোস্টে সারাক্ষণ
অথবা সাইনবোর্ডে নেবে খুঁজে অর্থের স্পন্দন
কোনো শুকনো অন্ধকারে? এই অবেলায় চেয়ে থাকি
যমজ আলোর দিকে বুকে নিয়ে বিপুল বৈশাখী।
পথ চলি পুনরায়; তলোয়ার মাছের মতন
একটি শরীর চোখে ভাসে, আমাকে অনুসরণ
করছে দু’টি চোখ ধুলো-সমুদ্রের, আমি দৃষ্টি ঢাকি।
আমার প্রস্থানরত পিঠ ফুঁড়ে সেই চক্ষুদ্বয়
ছিটকে পড়লো দূরে মার্বেলের মতো। শাদা ভয়
জুড়ে রয় সত্তাময়। মাড়িয়ে যাবো কি যুগ্ম আলো?
যখন চিলেকোঠায় ফিরে রতিমগ্ন, মনে হয়-
শয্যাসঙ্গিনীর দু’টি চোখে কামনার কী ধারালো
পূর্ণিমা; চকিতে তারই চোখে ভিন্ন চোখ, মৃত্যু-কালো।