ভাঙাচোরা পথের ধারে একটি গাছকে বললাম-
তার কথা ভেবে ভেবে আর দগ্ধ হবো না।
গাছ আমার কথায় কান না দিয়ে
ঝাঁ ঝাঁ রোদে আরো বেশি পুড়তে দিলো নিজেকে।
দূরের এক পাখিকে মনোযোগের চাতালে এনে জানালাম-
ওর উদ্দেশে গান গেয়ে আর ভেজাবো না চোখের পাতা।
পাখি আমার কথাকে উদাসীন ঝাপটায়
ঝেড়ে ফেলে বৃষ্টিতে ভিজতে থাকে একাকী।
আমার চারপাশে জড়ো হওয়া অক্ষরগুলোকে
শোনালাম, তোমাদের রূপকল্পে
তাকে আর কস্মিনকালেও সাজাবো না।
অক্ষরগুলো হো হো হেসে করতালি বাজায় ক্রমাগত।
যতই ভাবি আমার স্মৃতির চৌহদ্দি থেকে
রাখবো ওকে বনবাসে,
ততই সে নিজেকে মূল বিষয় করে দৃশ্যের পর দৃশ্য
তৈরি করতে থাকে আমার চোখের সামনে প্রহরে প্রহরে।