মৃত্যু

মৃত্যু

কখনো মানুষ হয়ে উঠি আমি, কখনো মানুষ নই, তবুও সন্ধ্যায়
ব্রিজের অনেক নীচে জল, আজ সেইখানে ঝুঁকেছে মানুষ…
ব্রিজের খিলান ধরে ঝুঁকে থেকে মনে হয় অবিকল মানুষেরই মতো
মানুষের জল দেখা, জলের মানুষ দেখা, পরস্পর মুখ;
মানুষ দেখেছে জল বহুদিন, মানুষ দেখেছে অশ্রুজল
মানুষ দেখেছে মুখ অশ্রুভেজা ব্রিজের অনেক নীচে হিম কালো জলে
কালো জল বহু ঊর্ধ্বে দেখেছে কান্নায় সিক্ত গোপন কঠিন মুখ
মানুষের মতো
আসমুদ্র দয়াপ্রার্থী আবার বৃষ্টির কাছে অতি পলাতক
কখনো নিথর জলে স্পষ্ট মুখ, কখনো তরঙ্গে ভাঙা হীন-মানবীয়।

জলের কিনারে এলে জলের ভিতরে যাওয়া, জলের ভিতরে
মানুষ যখনই যায় একা, তার অলঙ্ঘ শরীর
মাতৃগর্ভবাস যেন অগোপন, অথবা না হোক একা, বন্ধু ও সঙ্গিনী
অদূরেই জলযুদ্ধে, একটিবার ড়ুব দিয়ে মীনচোখে দেখা
নারীর ঊরুর জোড়, খোলা স্তন কী রকম আশ্চর্য সরল..
জলেরই মতন সেও সজল, নীলের কালো, সংখ্যাতীত জিভে
জল তার সর্ব অঙ্গ লেহন করেছে, ঠিক যেরকম মানুষের হাত
জলের ভিতর গিয়ে নিজের শরীরটাকে চিনে নেয়, জলের ভিতরে
সহাস্যে পেচ্ছাপ করে লজ্জাহীন, বাতাসের মতো জল পরাগ ছড়ায়।

কখনও মানুষ সেজে বিয়ার বাস্কেট নিয়ে বসেছি নারীর
কাছাকাছি সিন্ধুতটে সন্ধেবেলা, জ্যোৎস্না ভাঙে লাবণ্য হাওয়ায়…
আকাশে অসংখ্য ছিদ্র, ঢেউয়ের চূড়ায় জ্বলে ফসফরাস, দেখেছিল মুখ
অথবা ঢেউয়ের দল মানুষের মুখ চেয়ে সার বেঁধে আসো
এমন উজ্জ্বল জল, মানুষের মুখ দেখা যেন তার আশৈশব সাধ!]

মানুষের ছদ্মবেশে আছি তাই চোখে আসে অশ্রু,
মুখ ঢাকি!