মাঝে মাঝে স্বপ্নের ভেতরে চলে যাই
উন্মুক্ত প্রান্তরে, হু হু হাওয়া
আমাকে জড়িয়ে ধরে, সখ্য আঁকে চুলে
জীর্ণ মুখমণ্ডলে, বাহুতে, ফুসফুসে।
অনেক করোটি দেখি মাটির ওপর
কেমন তাকিয়ে থাকে আমার দিকেই। সেই সব
করোটি ঈষৎ আচ্ছাদিত
ঘাস আর সজীব হলুদ কিছু ফুলে।
বালিকার হাত থেকে ছিটকে পড়া কোনো
পুতুলের ভাঙাচোরা টুকরোর মতোই
সেই সব করোটি ব্যথিত পড়ে আছে
স্বপ্নের ভেতরে আজ; প্রজাপতি বসে শূন্য চোখে কোটরে।
ওরা ভালোবেসেছিল আমাদের, আমাদের
দুঃস্বপ্ন বেষ্টিতে দেয়ালের
পাথরগুলোকে গুঁড়ো করে প্রত্যূষের দরজায়
হিরন্ময় স্বপ্নসৌধ দিয়েছিল গড়ে।
এখন ওদের ভুলে দিব্যি বসে চায়ের আসর,
কবিদের নিভাঁজ আড্ডায়
সময় কাটিয়ে দিই ঢের রাজা উজিরের মুণ্ডুপাত করে;
ছেঁড়া পকেটের গর্ত থেকে খসে-পড়া
মুদ্রার ধরনে শুষ্ক ধূলায় গড়ায় অগোচরে।