ওল্ড স্টেটমেন্ট
নিউ স্টেটমেন্ট
1 of 2

মথি ১৪

১ সেই সময় গালীলের শাসনকর্তা হেরোদ, যীশুর বিষয়শুনতেপেলেন।
২ তিনি তাঁরচাকরদের বললেন, ‘এই লোক নিশ্চয়ই বাপ্তিস্মদাতা য়োহন। সে নিশ্চয়ইমৃত লোকদের মধ্য থেকে বেঁচে উঠেছে। আর সেইজন্যইএইসব অলৌকিক কাজ করতে পারছে।
৩ এই হেরোদই য়োহনকে গ্রেপ্তার করে কারাগারের মধ্যে শেকলে বেঁধে রেখেছিলেন। তাঁর ভাই ফিলিপেরস্ত্রী হেরোদিয়ার অনুরোধেই তিনি একাজ করেছিলেন।
৪ কারণ য়োহন হেরোদকে বার-বার বলতেন, ‘হেরোদিয়াকে তোমার ঐভাবে রাখা বৈধ নয়।’
৫ হেরোদ এই জন্য য়োহনকে হত্যা করতে চেয়েছিলেন, কিন্তু তিনি লোকদের ভয় করতেন, কারণ সাধারণ লোক য়োহনকে ভাববাদী বলে মানত।
৬ এরপর হেরোদের জন্মদিন এল, সেইউত্‌সবে হেরোদিয়ার মেয়ে, হেরোদ ও তাঁর অতিথিদের সামনে নেচে হেরোদকে খুব খুশী করল।
৭ সেজন্য হেরোদ শপথ করে বললেন য়ে, সে যা চাইবে তিনি তাকে তাইদেবেন।
৮ মেয়েটি তার মায়ের পরামর্শ অনুসারে বলল, ‘থালায় করে বাপ্তিস্মদাতা য়োহনের মাথাটা আমায় এনে দিন।’
৯ যদিও রাজা হেরোদ এতে খুব দুঃখিত হলেন, তবু তিনি শপথ করেছিলেন বলে এবং যাঁরা তাঁর সঙ্গে খেতে বসেছিলেন তারা সেই শপথের কথা শুনেছিলেন বলে সম্মানের কথা ভেবে তিনি তা দিতে হুকুম করলেন।
১০ তিনি লোক পাঠিয়ে কারাগারের মধ্যে য়োহনের শিরশ্ছেদ করালেন।
১১ এরপর য়োহনের মাথাটি থালায় করে নিয়ে এসে সেই মেয়েকে দেওয়া হলে, সে তা নিয়ে তার মায়ের কাছে গেল।
১২ তারপর য়োহনের অনুগামীরা এসে তাঁর দেহটি নিয়ে গিয়ে কবর দিলেন। আর তাঁরা যীশুর কাছে গিয়ে সব কথা জানালেন।
১৩ যীশু সব কথা শুনে একা একটা নৌকা করে সেখান থেকে রওনা হয়ে কোন এক নির্জন জায়গায় চলে গেলেন। কিন্তু লোকেরা তা জানতে পেরে বিভিন্ন নগর থেকে বেরিয়ে হাঁটা পথ ধরে তাঁর সঙ্গ ধরল।
১৪ তিনি নৌকা থেকে তীরে নেমে দেখলেন বহুলোক জড় হয়েছে, তাদের প্রতি তাঁর করুণা হল। তাদের মধ্যে যাঁরা অসুস্থ ছিল, তাদের সকলকে তিনি সুস্থ করলেন।
১৫ সন্ধ্যা হলে শিষ্যরা তাঁর কাছে এসে বললেন, ‘এ জনহীন প্রান্তর আর এখন বেলাও শেষ হয়ে এল, এইলোকদের চলে য়েতে বলুন, তারা য়েন গ্রামে গ্রামে গিয়ে নিজেদের জন্য খাবার কিনে নিতে পারে।’
১৬ কিন্তু যীশু তাদের বললেন, ‘তাদের যাবার দরকার নেই, তোমরাইতাদের কিছু খেতে দাও।’
১৭ তখন তার শিষ্যরা তাঁকে বললেন, ‘এখানে আমাদের কাছে পাঁচখানা রুটি আর দুটো মাছ ছাড়া আর কিছুই নেই।’
১৮ তিনি তাঁদের বললেন, ‘ওগুলো আমার কাছে নিয়ে এস।’
১৯ এরপর তিনি সেই লোকদের ঘাসের ওপর বসে য়েতে বললেন। পরে তিনি সেই পাঁচখানা রুটি ও দুটো মাছ নিয়ে স্বর্গের দিকে তাকিয়ে সেইখাবারের জন্য ঈশ্বরকে ধন্যবাদ দিলেন। তারপর সেই রুটিটুকরো টুকরো করে তাঁর শিষ্যদের হাতে পরিবেশন করার জন্য দিলেন। শিষ্যরা এক এক করে লোকদের তা দিলেন।
২০ আর লোকেরা সকলে খেয়ে পরিতৃপ্ত হল। পরে শিষ্যরা পড়ে থাকা খাবারের টুকরো-টাকরা তুলে নিলে তাতে বারোটি টুকরি ভর্তি হয়ে গেল;
২১ যাঁরা খেয়েছিল তাদের মধ্যে স্ত্রীলোক ও ছোট ছোট ছেলেমেয়ে ছাড়া পাঁচ হাজার পুরুষ মানুষ ছিল।
২২ এরপরইযীশু তাঁর শিষ্যদের নৌকায় করে হ্রদের অপর পারে তাঁর সেখানে যাবার আগে তাদের পৌঁছাতে বললেন। এরপর তিনি লোকদের বিদায় জানালেন।
২৩ লোকদের বিদায় দিয়ে., প্রার্থনা করবার জন্য তিনি একা পাহাড়ে উঠে গেলেন। অন্ধকার হয়ে গেলেও তিনি সেখানে একাই রইলেন।
২৪ নৌকাটি তীর থেকে দূরে গিয়ে পড়েছিল, উল্টো হাওয়া বইতে থাকায় ঢেউয়ের ধাক্কায় ভীষণভাবে দুলছিল।
২৫ সকাল তিনটে থেকে ছ’টার মধ্যে যীশুর শিষ্যরা নৌকায় ছিলেন। এমন সময় যীশু জলের উপর দিয়ে হেঁটে তাঁদের কাছে এলেন।
২৬ যীশুকে হ্রদের জলের ওপর দিয়ে হেঁটে আসতে দেখে শিষ্যরা ভয়ে আঁতকে উঠলেন, তারা ‘ভূত, ভূত’ বলে ভয়ে চিত্‌কার করে উঠলেন।
২৭ সঙ্গে সঙ্গে যীশু তাঁদের বললেন, ‘এতো আমি! সাহস কর! ভয় করো না।’
২৮ এর উত্তরে পিতর তাঁকে বললেন, ‘প্রভু, এ যদি সত্যিই আপনি হন, তবে জলের ওপর দিয়ে আমাকেও আপনার কাছে আসতে আদেশ করুন।’
২৯ যীশু বললেন, ‘এস।’ পিতর তখন নৌকা থেকে নেমে জলের ওপর দিয়ে হাঁটতে হাঁটতে যীশুর দিকে এগোতে লাগলেন।
৩০ কিন্তু যখন দেখলেন প্রচণ্ড ঝোড়ো বাতাস বইছে, তখন খুবই ভয় পেয়ে গেলেন। তিনি আস্তে আস্তে ডুবতে লাগলেন আর চিত্‌কার করে বললেন, ‘প্রভু, আমাকে বাঁচান।’
৩১ যীশু তখনইহাত বাড়িয়ে পিতরকে ধরে ফেলে বললেন, ‘হে অল্প-বিশ্বাসী! তুমি কেন সন্দেহ করলে?’
৩২ যীশু ও পিতর নৌকায় উঠলে পর ঝোড়ো বাতাস থেমে গেল।
৩৩ যাঁরা নৌকায় ছিলেন তাঁরা যীশুকে প্রণাম করে বললেন, ‘আপনি সত্যিইঈশ্বরের পুত্র।’
৩৪ তাঁরা ্ব্রদ পার হয়ে গিনেষরত্ অঞ্চলে এলেন।
৩৫ সেইঅঞ্চলের লোকরা তাঁকে চিনতে পেরে সেইঅঞ্চলের সব জায়গায় লোকদের কাছে তাঁর আসার খবর রটিয়ে দিল। তখন লোকেরা তাদের মধ্যে যাঁরা অসুস্থ ছিল তাদের সকলকে যীশুর কাছে নিয়ে এল।
৩৬ তারা যীশুকে অনুরোধ করল, য়েন সেইরোগীরা কেবল তাঁর পোশাকের ঝালর স্পর্শ করতে পারে। আর যাঁরা স্পর্শ করল, তারাইসুস্থ হয়ে গেল।