এর পরে কিছু নয়, কিছুই না। পুরানো কবরে
প্রহরে প্রহরে
পাতা ঝরে, ঘাস দীর্ঘ হয়। নতুন কবরে কেউ কী নিবিড়
একটি পুষ্পিত ডাল গুঁজে
দেয়, বাতি জ্বালে, বিড় বিড়
আয়াত আবৃত্তি করে। কেউ কেউ খুঁজে
নিতে চায় কিছু আশেপাশে।
রুদ্রাক্ষের মালা
অথবা তসবিদানা, গলায় ঝোলানো ক্রুশ তীব্র অন্তর্জালা
পারে না মেটাতে ঘাসে ঘাসে
কুয়াশার মতো নীরবতা নেমে আসে;
মেলে না সান্ত্বনা কোনো ধোঁয়াটে আশ্বাসে।
গেছে দলে দলে, যাবো আমিও প্রবাসে। কিন্তু এই
প্রবাস কথাটা লিখে ফেলে একরত্তি স্বস্তি নেই;
কী করে প্রবোধ দিই নিজেকে এখন? বাস্তবিক
দেখি না আমার ঘরে স্বর্গের প্রদীপ। দিগ্বিদিক
ছুটে মরি, সবগুলো খুঁটি
লুপ্ত আজ, ছিঁড়ি কুটি কুটি
বাতিল দলিল;
মহাজনী কূটকচালের ভাষা, মিল ও অমিল
ভেসে যায় সৌরলোকে, পায়ের তলায়
মাটি কাঁপে সর্বক্ষণ, যায় সবই যায়।
ফিরবো না; মিনিবাসে পথ চলা, ছায়ায় দাঁড়ানো
এবং হারানো
ফুলের সুগন্ধ পেয়ে সন্ধ্যেবেলা দূরে চেয়ে-থাকা,
শহরতলীতে তালপাখা,
আষাঢ়ে মাটির ঘরে মধ্যাহ্ন ভোজন,
যোজন যোজন
দূরে তার হাতে হাত রেখে
ঝকঝকে দুপুর বেলায়
গল্পের ভেলায়
ভেসে-যাওয়া, পড়শির দেনা
থাকবে না।
অতর্কিতে ঘরে কি বাইরে দেবে হানা
মেলে কৃষ্ণ ডানা সে অজানা,
নিমেষে ফেলবে ঢেকে
সত্তা, তাই গাছের রসাল ফল এবং তৃষ্ণার টলটলে
জল ঝলমলে
পাশের ফ্ল্যাটের সদ্য যুবকের গিটার বাজানো,
তারায় সাজানো
আকাশ, রোদ্দুরে স্মিত গলি, পরস্পর মেশামেশি
ছুটির দুপুরে আর ভিডিও ক্যাসেটে ফিল্ম দেখে হাসাহাসি
এবং চায়ের কাপে বিলাসী চুমুক ভালোবাসি
আরো বেশি।