ভুলতে পারিনি তাই বারবার সেই একই জায়গায় যাই
হৃদয়ের কিছু রেণু ছড়িয়ে, স্মৃতির
কণাগুলো ওড়ে ইতস্তত। মনে পড়ে এখানেই
পাঁচটি বছর আগে তাকে
বলেছি ব্যাকুল স্বরে,- তোমার জন্যেই ধু ধু মাঠ
পেরিয়ে এসেছি এই ঘাটে অবেলায়।
এখনই সূর্যের আলো নিভে যাবে বৃদ্ধের মতো,
‘তোমার সময় কম,’ বারবার যাচ্ছে বলে ধোঁয়াটে আকাশে
নীড়ে ফেরা পাখির ধূসর নেকলেস। গোধূলির
দিকে কী উদাস চেয়ে থাকি, তুমিও তো
গোধূলির মতো দ্রুত ক্ষয়ে যাচ্ছ, করোটির সাথে
খেলায় মেতেছ, যার মোহ অচিরেই যাবে কেটে।
আমি নিজে অনুপম ঘাটের খোয়াব দেখে আঘাটায়
বসে আছি। চতুর্দিক থেকে
দুঃস্বপ্নেরা ঘিরে ধরে। কে যেন অদূরে কেঁদে ওঠে
জমির সকল ধান পুড়ে গেল বলে। একজন চন্দ্রাহ্ত কবি
আমাকে ধিক্কার দিয়ে বলে, ‘পাঁচটি বছর আগে
পুষ্পাঞ্জলি দিয়েছিলে যাকে, তার কাছ থেকে দূরে
সরে গিয়ে সভায় মিছিলে মেতে আছো। এও কি কবির কাজ?’
বলি তারে দূরে নয়, কিয়দ্দূরে আছি। কবিতাকে
অনায়াসে অধিকার দিয়েছি আমার হাড় মজ্জা
চিবিয়ে নেয়ার নিত্যদিন তার মহিমা বাড়াতে।
২৩.৩.৯৯