ভোরবেলা দাড়ি কেটে মসৃণ করেছি গাল; চুল
আঁচড়িয়ে আয়নায় কিছুটা মশগুল
থেকে বসি একান্ত নির্জনে
কাগজ কলম নিয়ে। অক্ষরের বনে পেয়ে যাই চকিতে হদিশ
পথের এবং বেজে ওঠে মগজে পাখির শিস,
দেখি শূন্যে হরিণের লাফ।
আলনায় রোদ্দুরের রমণীয় তাপ
পোহায় তাঁতের শাড়ি। গিয়েছিলাম কখনো লেকে,
মনে পড়ে পর্যটক মেঘমালা দেখে।
ইতোমধ্যে সকালবেলার ডাক এসে
গেছে; কার চিঠি এলো? যে আছে বিদেশে?
সকল সময় নয়, মাঝে-মাঝে কী-যে
হয়, চোখ ভিজে
ওঠে অকস্মাৎ, মনে নামে সফোক্লিসের কালের
সন্ধ্যার মতন সন্ধ্যেবেলা, পাখিদের
কংকাল ছড়িয়ে পড়ে চারদিকে, ভাবি-
কোথায় থাকবে প’ড়ে তৈজসের চটক, দরজা, গূঢ় চাবি।
যেতে তো হবেই
একদিন, আমার সময় আর বেশি বাকি নেই।
জীবনের যাবতীয় চলক, বিভূতি
চোখে আনে দ্যুতি
প্রায়শই, তাই আমি যখন কোথায়ও কালো ডানা
অকস্মাৎ হানা
দিতে দেখি, জানলার বাইরে তাকাই, সারাক্ষণ
ভয়ে ভয়ে থাকি আর ছায়ার মতন
চলা ফেরা করি ঘরে।
নাছোড় তাগিদময় পাওনাদারের মতো যদি এসে পড়ে
মৃত্যু, তবে কী ক’রে ফেরাবো তাকে? কোন্ ছলে? থাক্
সে ভাবনা, আপাতত জীবনের ঠোঁট ঠোঁট চেপে ধরা যাক।