বড় বেশি অস্থিরতা গোধূলিতে আমাকে দখল
করে নিয়ে জনহীন ঘরে ডানে বামে
ঘোরাচ্ছে ভীষণ। এ বয়সে
এ রকম ছটফটে আচরণ খুব বেমানান
ব’লে মৃদু হাসবেন অনেকেই। এমনকি কেউ
মস্তিষ্কের বিকৃতি ভেবেই দুশ্চিন্তায় মজবেন।
ব্যাপারটি বুঝতে পেরেও দ্রুত করি পায়চারি
ঘরের ভেতর। ঘন ঘন চোখ যায়
পুরনো দেয়ালে, উড়ে-যাওয়া পাখি আর আকাশের
নীলে, অকস্মাৎ চুপচাপ
লেখার টেবিল-ঘেঁসে দাঁড়ানো চেয়ারে
বসে পড়ি। চোখ দু’টি অজান্তেই দ্রুত মুদে আসে।
আচানক কার গাঢ় কণ্ঠস্বর যেন
আমাকে প্রবল নাড়া দিয়ে চোখ খুলে সামনের
দিকে দৃষ্টি মেলে দিতে বাধ্য করে। দেখি
একজন সুকান্ত প্রবীণ নিরীক্ষণ
করছেন আমাকে প্রকৃত বিশ্লেষণী
ভঙ্গিমায়। পরক্ষণে তিনি সাবলীল উচ্চারণ
করলেন অনুপম কথামালা। দৃষ্টি থেকে তাঁর
হলো বিচ্ছুরিত কিছু হীরাপ্রতিম বাক্যের ফুলঝুরি শুধু।
কী করে যে কেটে গেলো নিমেষেই এমন সময়,
বুঝতে পারিনি কিছুতেই। শ্রদ্ধেয় প্রবীণ চেনা
দৃশ্য থেকে তাঁর অনুপম সৌন্দর্যের আভা নিয়ে
কোথায় যে হলেন বিলীন, জানবো না কোনওকালে,
শুধু তাঁর সৌম্য মূর্তি স্মৃতির উদ্যানে
মাঝে-মধ্যে হবে প্রস্ফুটিত আর তাঁর
বাণী বেলা অবেলায় গুঞ্জরিত হয়ে
এই ব্যর্থ জ্ঞানপ্রার্থী আমাকে করবে ঋদ্ধ বেলা অবেলায়।
৩০.০৩.২০০৪