হাদিস ৭৬৭
আবুল ইয়ামান রহ………আবু বকর ইবনে আবদুর রহমান রহ. ও আবু সালামা ইবনে আবদুর রহমান রহ. থেকে বর্ণিত যে, আবু হুরায়রা রা. রমযান মাসের সালাত বা অন্য কোন সময়ের সালাত ফরয হোক বা অন্য কোন সালাত হোক, দাঁড়িয়ে শুরু করার সময় তাকবীর বলতেন, আবার রুকুতে যাওয়ার সময় তাকবীর বলতেন। তারপর (রুকু থেকে উঠার সময়) سمع الله لمن حمده বলতেন, সিজদায় যাওয়ার পূর্বে ربنا ولك الحمد বলতেন। তারপর সিজদার জন্য অবনত হওয়ার সময় আল্লাহু আকবার বলতেন। আবার সিজদা থেকে মাথা উঠানোর সময় তাকবীর বলতেন। এরপর (দ্বিতীয়) সিজদায় যাওয়ার সময় তাকবীর বলতেন এবং সিজদা থেকে মাথা উঠানোর সময় তাকবীর বলতেন। দু’রাকাআত আদায় করে দাঁড়ানের সময় আবার তাকবীর বলতেন। সালাত শেষ করা পর্যন্ত প্রতি রাকাআতে এইরূপ করতেন। সালাত শেষে তিনি বলতেন, যে সত্তার হাতে আমার প্রাণ তাঁর শপথ ! তোমাদের মধ্য থেকে আমার সালাত নবী করীম সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম -এর সালাতের সাথে অধিক সাদৃশ্যপূর্ণ। দুনিয়া থেকে বিদায় নেওয়ার পূর্ব পর্যন্ত নবী করীম সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম -এর সালাত এ রূপই ছিল। উভয় বর্ণনাকারী (আবু বকর ইবনে আবদুর রহমান ও আবু সালাম রহ. বলেন, আবু হুরায়রা রা. বলেছেন যে, নবী করীম সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম যখন রুকু থেকে মাথা উঠাতেন তখন سمع الله لمن حمده ربنا ولك الحمد বলতেন। আর কতিপয় লোকের নাম উল্লেখ করে তাদের জন্য দুআ করতেন। দুআয় তিনি বলতেন, ইয়া আল্লাহ ! ওয়ালীদ ইবনে ওয়ালীদ, সালামা ইবনে হিশাম, আইয়্যাস ইবনে আবু রাবীআ এবং অপরাপর দুর্বল মুসলমানদেরকে রক্ষা করুন। ইয়া আল্লাহ ! মুদার গোত্রের উপর আপনার পাকড়াও কঠোর করুন, ইউসুফ আ.-এর যুগে যেমন খাদ্য সংকট ছিল তাদের জন্যও অনুরূপ খাদ্য সংকট সৃষ্টি করে দিন। (রাবী বলেন) এ যুগে পূর্বাঞ্চলের অধিবাসী মুদার গোত্রের লোকেরা নবী করীম সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম -এর বিরোধী ছিল।