বুখারি হাদিস ৭১৯

হাদিস ৭১৯

মূসা রহ…..জাবির ইবনে সামুরা রা. থেকে বর্ণিত, তিনি বলেন, কুফাবাসীরা সাদ রা.-এ বিরুদ্ধে উমর রা.-এর নিকট অভিযোগ করেন। কুফার লোকেরা দায়িত্ব থেকে অব্যাহতি দেন এবং আম্মার রা.-কে তাদের শাসনকর্তা নিযুক্ত করেন। কুফার লোকেরা সাদ রা.-এর বিরুদ্ধে অভিযোগ করতে গিয়ে এ-ও বলে যে, তিনি ভালোরূপে সালাত আদায় করতে পারেন না। উমর রা. তাকে ডেকে পাঠালেন এবং বললেন, হে আবু ইসহাক! তারা আপনার বিরুদ্ধে অভিযোগ করেছে যে, আপনি নাকি ভালোরূপে সালাত আদায় করতে পারেন না। সাদ রা. বললেন, আল্লাহর শপথ ! আমি নবী করীম সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম-এর সালাতের অনুরূপই সালাত আদায় করে থাকি। তাঁতে কোন ত্রুটি করি না। আমি ইশার সালাত আদায় করতে প্রথম দু’রাকাআতে একটু দীর্ঘ ও শেষের দু’রাকাআতে সংক্ষেপ করতা। উমর রা. বললেন, হে আবু ইসহাক! আপনার সম্পর্কে আমরা এ-ই ধারণা। তারপর উমর রা. কুফার অধিবাসীদের এ সম্পর্কে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য এক বা একাধিক ব্যক্তিকে সাদ রা. -এর সঙ্গে কুফায় পাঠান। সে ব্যক্তি প্রতিটি মসজিদে গিয়ে সাদ রা. সম্পর্কে জিজ্ঞাসা করল এবং তারা সকলেই তাঁর ভূয়সী প্রশংসা করলেন। অবশেষে সে ব্যক্তি বনু আবস গোত্রের মসজিদে উপস্থিত হয়। এখানে উসামা ইবনে কাতাদাহ নামে এক ব্যক্তি যাকে আবু সাদাহ বলে ডাকা হত-দাঁড়িয়ে বলল, যেহেতু তুমি আল্লাহর নামের শপথ দিয়ে জিজ্ঞাসা করেছ, সাদ রা. কখনো সেনাবাহিনীর সঙ্গে যুদ্ধে যান না, গনীমতের মাল সবভাবে বন্টন করেন না এবং বিচারে ইনসাফ করেন না। তখন সাদ রা. বললেন, মনে রেখো, আল্লাহর শপথ! আমি তিনটি দুআ করছি : ইয়া আল্লাহ ! যদি তোমার এ বান্দা মিথ্যাবাদী হয়, লোক দেখানো এবং আত্মপ্রচারের জন্য দাঁড়িয়ে থাকে, তাহলে-১. তার হায়াত বাড়িয়ে দিন, ২. তার অভাব বাড়িয়ে দিন এবং ৩. তাকে ফিতার সম্মুখীন করুন। পরবর্তীকালে লোকটিকে (তার অবস্থা সম্পর্কে) জিজ্ঞাসা করা হলে সে বলত, আমি বয়সে বৃদ্ধ, ফিতনায় লিপ্ত। সাদ রা. -এর দুআ আমার উপর লেগে আছে। বর্ণনাকারী আবদুল মালিক রহ. বলেন, পরে আমি সে লোকটিকে দেখেছি, অতিবৃদ্ধ হয়ে যাওয়ার কারণে তার উভয় ভ্রু চোখের উপর ঝুলে পড়েছে এবং সে পথে মেয়েদের উত্যক্ত করত এবং তাদের চিমটি কাটতো।