বুখারি হাদিস নং ৪০২২

হাদীস নং ৪০২৩

আলী ইবনে আবদুল্লাহ রহ…………জাবির ইবনে আবদুল্লাহ রা. থেকে বর্ণিত, তিনি বলেন, রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম আমাদের তিনশ’ সাওয়ারীর একটি সৈন্যবাহিনীকে কুরাইশের একটি কাফেলার উপর সুযোগমত আক্রমণ চালানোর জন্য পাঠিয়েছিলেন। আবু উবায়দা ইবনুল জাররাহ রা. ছিলেন আমাদের সেনাপতি। আমরা অর্ধমাস পর্যন্ত সমুদ্র সৈকতে অবস্থান করলাম। (ইতিমধ্যে রসদপত্র নিঃশেষ হয়ে গেল) আমরা ভীষণ ক্ষুধার শিকার হয়ে গেলাম। অবশেষে ক্ষুধার যন্ত্রণায় গাছের পাতা পর্যন্ত খেতে থাকলাম। এ জন্যইএ সৈন্যবাহিনীর নাম রাখা হয়েছে জায়গুল খাবাত অর্থাৎ পাতাওয়ালা সেনাদল। এরপর সমুদ্র আমাদের জন্য আম্বর নামক একটি প্রাণী নিক্ষেপ করল। আমরা অর্ধমাস ধরে তা থেকে খেলাম। এর চর্বি শরীরে লাগালাম। ফলে আমাদের শরীর পূর্বের ন্যায় হৃষ্টপুষ্ট হয়ে গেল। এরপর আবু উবায়দা রা. আম্বরটির শরীর থেকে একটি পাঁজর ধরে খাড়া করালেন। এরপর তাঁর সাথীদের মধ্যকার সবচেয়ে লম্বা লোকটিকে আসতে বললেন। সুফিয়ান রা. আরেক বর্ণনায় বলেছেন, আবু উবায়দা রা. আম্বরটির পাঁজরের হাড়গুলোর মধ্য থেকে একটি হাড় ধরে খাড়া করালেন। এবং (ঐ) লোকটিকে উটের পিঠে বসিয়ে এর নিচে দিয়ে অতিক্রম করালেন। জাবির রা. বলেন, সেনাদলের এক ব্যক্তি (খাদ্যের অভাব দেখে) প্রথমে তিনটি উট যবেহ করেছিলেন, তারপর আরো তিনটি উট যবেহ করেছিলেন, তারপর আরো তিনটি উট যবেহ করেছিলেন। এরপর আবু উবায়দা রা. তাকে (উট যবেহ করতে) নিষেধ করলেন। আমর ইবনে দীনার রা. বলতেন, আবু সালিহ রহ. আমাদের জানিয়েছেন যে, কায়েস ইবনে সাদ রা. তাঁর পিতার কাছে বর্ণনা করছিলেন যে, সেনাদলে আমিও ছিলাম, এক সময়ে সমগ্র সেনাদল ক্ষুধার্ত হয়ে পড়ল, সাদ বললেন, এমতাবস্থায় তুমি উট যবেহ করে দিতে। কায়েস বললেন, (হ্যাঁ) আমি উট যবেহ করেছি। তিনি বললেন, তারপর আবার সবাই ক্ষুধার্ত হয়ে গেল। এবারো তার পিতা বললেন, তুমি যবেহ করতে। তিনি বললেন, (হ্যাঁ) যবেহ করেছি। তিনি বললেন, তারপর আবার সবাই ক্ষুধার্ত হল। সাদ বললেন, এবারো উট যবেহ করতে। তিনি বললেন, (হ্যাঁ) যবেহ করেছি। তিনি বললেন, এরপরও আবার সবাই ক্ষুধার্ত হল। সাদ রা. বললেন, উট যবেহ করতে। তখন কায়েস ইবনে সাদ রা. বললেন, এবার আমাকে (যবেহ করতে) নিষেধ করা হয়েছে।