বুখারি হাদিস নং ১৬৫৭ – মুহাসসাব থেকে শেষ রাতে রওয়ানা হওয়া।

হাদীস নং ১৬৫৭

উমর ইবসে হাফস রহ………..আয়িশা রা. থেকে বর্ণিত, তিনি বলেন, প্রত্যাবর্তনের দিন সাফিয়্যা রা.-এর ঋতু দেখা দিলে তিনি বললেন, আমার মনে হচ্ছে আমি তোমাদেরকে আটকিয়ে ফেললাম। নবী করীম সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম তা শুনে ‘আকরা’ ‘হালকা’ বলে বিরক্তি প্রকাশ করলেন এবং বললেন : সে কি কুরবানীর দিন তাওয়াফ করেছে ? বলা হল, হ্যাঁ। তিনি বললেন : তবে চল। আবু আবদুল্লাহ (ইমাম বুখালি রহ.) অন্য সূত্রে বর্ণনা করেন, মুহাম্মদ ………..আয়িশা রা. থেকে বর্ণিত, তিনি বলেন, আমরা নবী করীম সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম-এর সঙ্গে রওয়ানা হলাম। হজ্জ আদায় করাই ছিল আমাদের উদ্দেশ্য। আমরা (মক্কায়) আসলাম, তখন আমাদের হালাল হওয়ার নির্দেশ দেন। তারপর প্রত্যাবর্তনের রাত এলে সাফিয়্যা বিনতে হুয়াই রা..-এর ঋতু আরম্ভ হল। নবী করীম সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম ‘হালকা’ ‘আকরা’ বলে বিরক্তি প্রকাশ করে বললেন : আমার ধারণা, সে তোমাদের আটকিয়েই ফেলবে। তারপর বললেন, তুমি কি কুরবানীর দিন তাওয়াফ করছিলে ? সাফিয়্যা রা. বললেন, হ্যাঁ। তখন নবী করীম সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বললেন : তবে চল। আমি বললাম, ইয়া রাসূলাল্লাহ ! আমি তো (উমরা আদায় করে) হালাল হইনি। তিনি বললেন : তাহলে এখন তুমি তানঈম থেকে উমরা আদায় করে নাও। তারপর তাঁর সঙ্গে তাঁর ভাই (আবদুর রাহমান ইবনে আবু বকর রা.) গেলেন। আয়িশা রা. বলেন, (উমরা আদায় করার পর) নবী করীম সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম-এর সঙ্গে সাক্ষাত হয়, যখন তিনি শেষ রাতে (বিদায়ী তাওয়াফের জন্য) যাচ্ছিলেন। তখন তিনি বললেন : অমুক স্থানে তোমরা সাক্ষাত করবে।