হাদীস নং ১৬৩২
আবদুল্লাহ ইবনে মুহাম্মদ রহ……….আবু বাকরা রা. থেকে বর্ণিত, তিনি বলেন, কুরবানীর দিন নবী করীম সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম আমাদের খুতবা দিলেন এবং বললেন : তোমরা কি জান আজ কোন দিন ? আমরা বললাম, আল্লাহ ও তাঁল রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম সবচাইতে বেশী জানেন। নবী করীম সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম নীরব হয়ে গেলেন। আমরা ধারণা করলাম সম্ভবত নবী করীম সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম এর নাম পাল্টিয়ে অন্য নামে নামকরণ করবেন। তিনি বললেন : এটা কি কুরবানীর দিন নয় ? আমরা বললাম, আল্লাহ ও তাঁর রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম-ই সব চাইতে বেশী জানেন। তিনি নীরব হয়ে গেলেন। আমরা মনে করতে লাগলাম, হয়ত তিনি এর নাম পাল্টিয়ে অন্য কোন নামে নামকরণ করবেন। তিনি বললেন : এ কি যিলহজ্জের মাস নয় ? আমরা বললাম, হ্যাঁ। তারপর তিনি বললেন : এটি কোন শহর ? আমরা বললাম, আল্লাহ ও তাঁর রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম-ই সবচাইতে বেশী জানেন। নবী করীম সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম নীরব হয়ে গেলেন। ফলে আমরা ভাবতে লাগলাম, হয়ত তিনি এর নাম বদলিয়ে অন্য নামকরণ করবেন। তিনি বললেন : এ কি সম্মানিত শহর নয় ? আমরা বললাম, নিশ্চয়ই। নবী করীম সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বললেন : তোমাদের জান এবং তোমাদের মাল তোমাদের জন্য তোমাদের রবের সঙ্গে সাক্ষাতের দিন পর্যন্ত এমন সম্মানিত যেমন সম্মান রয়েছে তোমাদের এ দিনের, তোমাদের এ মাসে এবং তোমাদের শহরে। নবী করীম সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম সাহাবীদের লক্ষ্য করে বললেন : শোন ! আমি পৌঁছিয়েছি তোমাদের কাছে ? সাহাবীগণ বললেন, হ্যাঁ (ইয়া রাসূলাল্লাহ !) তারপর তিনি বললেন : প্রত্যেক উপস্থিত ব্যক্তি যেন অনুপস্থিত ব্যক্তির কাছে (আমার দাওয়াত) পৌঁছিয়ে দেয়। কেননা, কোন কোন মুবাল্লাগ শ্রবণকারী থেকে কখনো কখনো অধিক সংরক্ষণকারী হয়ে থাকে। তোমরা আমার পরে কুফরীর দিকে প্রত্যাবর্তন করো না যে, পরস্পর পরস্পরকে হত্যা করবে।