বুখারি হাদিস নং ১৫৪৮

হাদীস নং ১৫৪৮

মুহাম্মদ ইবনে মুসান্না ও খলীফা রহ…….জাবির ইবনে আবদুল্লাহ রা. থেকে বর্ণিত, তিনি বলেন, নবী করীম সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম ও তাঁর সাহাবীগণ হজ্জ-এর ইহরাম বাঁধেন, তাদের মাঝে কেবল নবী করীম সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম ও তালহা রা. ব্যতীত অন্য কারো সঙ্গে কুরবানীর পশু ছিলনা, আলী রা. ইয়ামান থেকে আগমন করেন, তাঁর সঙ্গে কুরবানীর পশু ছিল। তিনি বললেন, নবী করীম সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম যেরূপ ইহরাম বেঁধেছেন, আমিও সেরূপ ইহরাম বেঁধেছি। নবী করীম সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম সাহাবীগণের মধ্যে যাদের নিকট কুরবানীর পশু ছিলনা, তাদের ইহরামকে উমরায় পরিণত করার নির্দেশ দিলেন, তারা যেন তাওয়াফ করে, চুল ছেটে অথবা মাথা মুণ্ডিয়ে হালাল হয়ে যায়। তাঁরা বলাবলি করতে লাগলেন, (যদি হালাল হয়ে যাই তাহলে) স্ত্রীর সাথে মিলনের পরপরই আমাদের পক্ষে মিনায় যাওয়াটা কেমন হবে ! তা অবগত হয়ে নবী করীম সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বললেন : আমি পরে যা জানতে পেরেছি তা যদি আগে জানতে পারতাম, তাহলে কুরবানীর পশু সাথে আনতাম না। আমার সাথে কুরবানীর পশু না থাকলে অবশ্যই ইহরাম ভঙ্গ করতাম। (হজ্জের সফরে) আয়িশা রা. ঋতুবতী হওয়ার কারণে বায়তুল্লাহর তাওয়াফ ব্যতীত হজ্জের জন্য অন্য সকল কাজ সম্পন্ন করে নেন। পবিত্র হওয়ার পর তাওয়াফ আদায় করেন, (ফিরার পথে) আয়িশা রা. বললেন, ইয়া রাসূলাল্লাহ ! সকলেই হজ্জ ও উমরা উভয়টি আদায় করে ফিরছে, আর আমি কেবল হজ্জ আদায় করে ফিরছি, তখন নবী করীম সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম আবদুর রহমান ইবনে আবু বকর রা.-কে নির্দেশ দিলেন, যেন আয়িশা রা.-কে নিয়ে তানঈমে চলে যান, (যেখানে যেয়ে উমরার ইহরাম বাঁধবেন) আয়িশা রা. হজ্জের পর উমরা আদায় করে নিলেন।