হাদীস নং ১৫৪০
আহমদ ইবনে ঈসা রহ………মুহাম্মদ ইবনে আবদুর রহমান ইবনে নাওফাল কুরাশী রহ. থেকে বর্ণিত, তিনি উরওয়া ইবনে যুবাইর রহ.-কে নবী করীম সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম-এর হজ্জ সংক্রান্ত বিষয়ে জিজ্ঞাসা করলেন। তিনি বললেন, নবী করীম সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম-এর হজ্জ-এর বিষয়টি আয়িশা রা. আমাকে এইরূপে বর্ণনা দিয়েছেন যে, নবী করীম সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম মক্কায় উপনীত হয়ে সর্বপ্রথম উযূ করে বায়তুল্লাহ তাওয়াফ করেন। তা উমরার তাওয়াফ ছিল না। পরে আবু বকর রা. হজ্জ করেছেন, তিনিও হজ্জের প্রথম কাজ বায়তুল্লাহর তাওয়াফ দ্বারাই শুরু করতেন, তা উমরার তাওয়াফ ছিল না। তারপর উমর রা.-ও অনুরূপ করতেন। এরপর উসমান রা. হজ্জ করেন। আমি তাকেও বায়তুল্লাহর তাওয়াফ দ্বারাই শুরু করতে দেখেছি, তাঁর এই তাওয়াফও উমরার তাওয়াফ ছিল না। মুআবিয়া এবং আবদুল্লাহ ইবনে উমর রা. (অনুরূপ করেন)। এরপর আমি আমার পিতা যুবাইর ইবনে আওয়াম রা.-এর সঙ্গে হজ্জ করলাম। তিনি বায়তুল্লাহর তাওয়াফ থেকেই শুরু করেন, আর তাঁর এ তাওয়াফ উমরার তাওয়াফ ছিল না। মুহাজির ও আনসার সাহাবীগণ রা.-কে আমি এরূপ করতে দেখেছি। তাদের সে তাওয়াফও উমরার তাওয়াফ ছিল না। সবশেষে আমি আবদুল্লাহ ইবনে উমর রা.-কেও অনুরূপ করতে দেখেছি। তিনিও সে তাওয়া উমরার তাওয়াফ হিসাবে করেননি। ইবনে উমর রা. তো তাদের নিকটেই আছেন তাঁর কাছে জেনে নিন না কেন ? সাহাবীগণের মধ্যে যারা অতীত হয়ে গেছেন তাদের কেউই মসজিদে হারামে প্রবেশ করে বায়তুল্লাহর তাওয়াফ সমাধা করার পূর্বে অন্য কোন কাজ করতেন না এবং তাওয়াফ করে ইহরাম ভঙ্গ করতেন না। আমার মা ও খালা রা.কে দেখেছি। তাঁরা উভয়ে মাসজিদুল হারামে প্রবেশ করে সর্বপ্রথম তাওয়াফ সমাধা করেন, কিন্তু তাওয়াফ করে ইহরাম ভঙ্গ করেন নি। আমার মা আমাকে বলেছেন যে, তিনি তাঁর বোন (আয়িশা রা. ও (আমার পিতা) যুবাইর রা. এবং অমুক অমুক উমরার নিয়্যাতে ইহরাম বাঁধেন। এরপর তাওয়াফ শেষে হালাল হয়ে যান।