হাদীস নং ১৩৫২
কুতাইবা রহ……….হুযায়ফা রা. থেকে বর্ণিত, তিনি বলেন, একবার উমর ইবনে খাত্তাব রা. বললেন, তোমাদের মধ্যে কে নবী করীম সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম থেকে ফিতনা সম্পর্কিত হাদীস স্মরণ রেখেছ ? হুযায়ফা রা. বলেন, আমি আরয করলাম, নবী করীম সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম যেভাবে বলেছেন, আমি ঠিক সে ভাবেই তা স্মরণ রেখেছি। উমর রা. বললেন, তুমি (নবী করীম সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম-কে প্রশ্ন করার ক্ষেত্রে) বড় দুঃসাহসী ছিলে, তিনি কীভাবে বলেছেন (বলত)? তিনি বলেন, আমি বললাম, (হাদীসটি হল 🙂 মানুষ পরিবার-পরিজন, সন্তান-সন্ততি ও প্রতিবেশী নিয়ে ফিতনায় পতিত হবে আর সালাত, সাদকা ও নেক কাজ সেই ফিতনা মিটিয়ে দিবে। সুলাইমান (অর্থাৎ আমাশ রহ. বলেন, আবি ওয়াইল কোন কোন সময় ‘নামায’ ‘সাদকা’ এরপর ‘সৎকাজ’ শব্দের স্থলে ‘সৎকাজের আদেশ ও অসৎ কাজের নিষেধ’ বলতেন। উমর রা. বলেন, আমি এ ধরনের ফিতনার কথা জানতে চাইনি, বরং যে ফিতনা সাগরের ঢেউয়ের ন্যায় প্রবল বেগে ছুটে আসবে। হুযায়ফা রা. বলেন, আমি বললাম, আমীরুল মু’মিনীন ! আপনার জীবনকালে ঐ ফিতনার কোন আশংকা নেই। সেই ফিতনা ও আপনার মাঝে বদ্ধ দরজা রয়েছে। উমর রা. প্রশ্ন করলেন, দরজা কি ভেঙ্গে দেওয়া হবে না কি খুলে দেওয়া হবে ? হুযায়ফা রা. বলেন, আমি বললাম, না, বরং ভেঙ্গে দেওয়া হবে। উমর রা. বললেন, দরজা ভেঙ্গে দেওয়া হলে কোন দিন তা আর বন্ধ করা সম্ভব হবে না। তিনি বলেন, আমি বললাম, সত্যই বলেছেন। আবু ওয়াইল রা .বলেন, দরজা বলতে কাকে বুঝানো হয়েছে ? এ কথা হুযায়ফা রা.-এর নিকট প্রশ্ন করে জানতে আমর কেউ সাহসী হলাম না। তাই প্রশ্ন করতে মাসরূককে অনুরোধ করলাম। মাসরূক রহ. হুযায়ফা রা. -কে প্রশ্ন করায় তিনি উত্তর দিলেন : দরজা হলেন উমর রা. আমরা বললাম, আপনি দরজা বলে যাকে উদ্দেশ্য করেছেন, উমর রা. কি তা উপলব্ধি করতে পেরেছেন ? তিনি বললেন, হ্যাঁ, আগামীকালের পূর্বে রাতের আগমন যেমন সুনিশ্চিত (তেমনি নিঃসন্দেহে তিনি তা উপলব্ধি করতে পেরেছেন) এর কারণ হল, আমি তাকে এমন হাদীস বর্ণনা করেছি, যাতে কোন ভুল ছিলনা।