বুখারি হাদিস নং ১২৭২ – বালক (অপ্রাপ্ত বয়স্ক) ইসলাম গ্রহণ করে মারা গেলে তার জন্য জানাযার সালাত আদায় করা হবে কি?

হাদীস নং ১২৭২

আবদান রহ……..ইবনে উমর রা. থেকে বর্ণিত যে, উমর রা. নবী করীম সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম-এর সংগে একটি দলের অন্তর্ভূক্ত হয়ে ইবনে সাইয়াদ-এর (বাড়ীর) দিকে গেলেন। তাঁরা তাকে (ইবনে সাইয়াদকে) বনূ মাগালা দূর্গের পাশে অন্যান্য বালকদের সাথে খেলাধূলারত পেলেন। তখন ইবনে সাইয়াদ বালিগ হওয়ার নিকটবর্তী হয়েছিল। সে নবী করীম সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম -এর আগমন অনুভব করার আগেই নবী করীম সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম তার হাত ধরে ফেললেন। তারপর তিনি জিজ্ঞাসা করলেন, তুমি কি সাক্ষ্য দিচ্ছ যে, আমি আল্লাহর রাসূল ? ইবনে সাইয়াদ তাঁর দিকে দৃষ্টি করে বলল, আমি সাক্ষ্য দিচ্ছি যে, আপনি উম্মীদের রাসূল। এরপর সে নবী করীম সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম-কে বলল, আপনি কি সাক্ষ্য দিবেন যে, আমি আল্লাহর রাসূল ? তখন নবী করীম সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম তাকে ছেড়ে দিয়ে বললেন : আমি আল্লাহর প্রতি এবং তাঁর রাসূলগণের প্রতি ঈমান এনেছি। তারপর তিনি তাকে (ইবনে সাইয়াদকে) জিজ্ঞাসা করলেন ? তুমি কি দেখে থাক ? ইবনে সাইয়াদ বলল, আমার কাছে সত্যবাদী ও মিথ্যাবাদী আগমন করে থাকে। নবী করীম সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম ইরশাদ করেলেন : ব্যাপারটি তোমার কাছে বিভ্রান্তিকর করা হয়েছে। এরপর নবী করীম সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম তাকে বললেন : আমি একটি বিষয়ে তোমার থেকে (আমার মনের মধ্যে) গোপন রেখেছি। (বলতো সেটি কি ?) ইবনে সাইয়াদ বলল, তা হচ্ছে ‘আদ-দুখখু’। তখন তিনি ইরশাদ করলেন : তুমি লাঞ্চিত হও ! তুমি কখনো তোমার (জন্য নির্ধারিত) সীমা অতিক্রম করতে পারবে না। তখন উমর রা. বললেন : যদি সে সেই (অর্থাৎ মাসীহ দাজ্জাল) হয়ে থাকে, তাহলে তাকে কাবু করার ক্ষমতা তোমাকে দেওয়া হবে না। আর যদি সে সেই (দাজ্জাল) না হয়, তাহলে তাকে হত্যা করার মধ্যে তোমার তোমার কোন কল্যাণ নেই। রাবী সালিম রহ. বলেন, আমি ইবনে উমর রা. -কে বলতে শুনেছি, এরপর নবী করীম সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম এবং উবাই ইবনে কা’ব রা. ঐ খেজুর বাগানের দিকে গমন করলেন। যেখানে ইবনে সাইয়াদ ছিল। ইবনে সাইয়াদ তাকে দেখে ফেলার আগেই ইবনে সাইয়াদের কিছু কথা তিনি শুনে নিতে চাচ্ছিলেন। নবী করীম সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম তাকে একটি চাদর মুড়ি দিয়ে শুয়ে থাকতে দেখলেন। যার ভিতর থেকে তার গুনগুন আওয়াজ শোনা যাচ্ছিল। ইবনে সাইয়াদের মা নবী করীম সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম-কে দেখতে পেল যে, তিনি খেজুর (গাছের) কান্ডের আড়ালে আত্মগোপন করে চলছেন। সে তখন ইবনে সাইয়াদকে ডেকে বলল, ও সাফ ! (এটি ইবনে সাইয়াদের ডাক) নাম। এই যে, মুহাম্মদ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম তখন ইবনে সাইয়াদ লাফিয়ে উঠল। নবী করীম সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম ইরশাদ করলেন : সে (ইবনে সাইয়াদের মা) তাকে (যথাস্থায়) থাকতে দিলে (ব্যাপারটি) স্পষ্ট হয়ে যেত। শুআইব রহ. তাঁর হাদীসে فرفضه বলেন. এবং সন্দেহের সাথে বলেন, رمرمة অথবা زمزمة এবং উকাইল রহ. বলেছেন, رمرمة আর মামার বলেছেন رمزة ।