হাদীস নং ১২১৮
আবদুল্লাহ ইবনে ইউসুফ রহ……….সা’দ ইবনে আবু ওয়াক্কাস রা. থেকে বর্ণিত, তিনি বলেন, বিদায় হজ্জে একটি কঠিন রোগে আমি আক্রান্ত হলে, আমি নবী করীম সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম আমার খোঁজ খবর নেওয়ার জন্য আসতেন। একদিন আমি তাঁর কাছে আরয করলাম, আমার রোগ চরমে পৌছেছে আর আমি সম্পদশালী। একটি মাত্র কন্যা ছাড়া কেউ আমার ওয়ারিস নেই। তবে আমি কি আমার সম্পদের দু’ তৃতীয়াংশ সাদকা করতে পারি ? তিনি বললেন, না । আমি আবার আরয করলাম, তাহলে অর্ধেক। তিনি বললেন, না। তারপর তিনি বললেন, এক তৃতীয়াংশ আর এক তৃতীয়াংশও বিরাট পরিমাণ অথবা অধিক। তোমার ওয়ারিসদের অভাবমুক্ত রেখে যাওয়া, তাদের অভাবগ্রস্ত রেখে যাওয়া মানুষের কাছে হাত পাতার চাইতে উত্তম। আর আল্লাহর সন্তুষ্টি লাভের জন্য তুমি যে কোন ব্যয় কর না কেন, তোমাকে তার বিনিময় দেওয়া হবে। এমন কি যা তুমি তোমার স্ত্রীর মুখে তুলে দিবে (তারও প্রতিদান পাবে) আমি আরয করলাম, ইয়া রাসূলাল্লাহ ! (আফসোস) আমি আমার সাথীদের থেকে পিছনে থেকে যাব ? তিনি বললেন, তুমি যদি পিছনে থেকে নেক আমাল করতে থাক, তাহলে তাঁতে তোমার মর্যাদা ও উন্নতি বৃদ্ধিই পেতে থাকবে । তা ছাড়া, সম্ভবত, তুমি পিছনে (থেকে যাবে) যার ফলে তোমার দ্বারা অনেক কওম উপকার লাভ করবে। আর অন্যরা ক্ষতিগ্রস্ত হবে। হে আল্লাহ ! আমার সাহাবীগণের হিজরত বলবৎ রাখুন। পশ্চাতে ফিরিয়ে দিবেন না। কিন্তু আফসোস ! সা’দ ইবনে খাওলার জন্য (এ বলে) আমি নবী করীম সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম তাঁর জন্য শোক প্রকাশ করছিলেন, যেহেতু মক্কায় তাঁর ইন্তিকাল হয়েছিল।