হাদীস নং ১১৬১
ইয়াহইয়া ইবনে সুলাইমান রহ………কুরাইব রহ. থেকে বর্ণিত, ইবনে আব্বাস রা. মিসওয়ার ইবনে মাখরামা এবং আবদুর রহমান ইবনে আযহার রা. তাকে আয়িশা রা.-এর কাছে পাঠালেন এবং বলে দিলেন, তাকে আমাদের সকলের তরফ থেকে সালাম পৌঁছিয়ে আসরের পরের দু’রাকাআত সালাত সম্পর্কে জিজ্ঞাসা করবে। তাকে একথাও বলবে যে, আমরা খবর পেয়েছি যে, আপনি সে দু’রাকাআত আদায় করতে নিষেধ করেছেন। ইবনে আব্বাস রা. সংবাদ আরও বললেন যে, আমি উমর ইবনে খাত্তাব রা.-এর সাথে এ সালাতের কারণে লোকদের মারধোর করতাম। কুরাইব রহ. বলেন, আমি আয়িশা রা.-এর কাছে গিয়ে তাকে তাদের পয়গাম পৌঁছিয়ে দিলাম। তিনি বললেন, উম্মে সালামা রা.-কে জিজ্ঞাসা কর। (কুরাইব রহ. বলেন) আমি সেখান থেকে বের হয়ে তাদের কাছে গেলাম এবং তাদেরকে আয়িশা রা. -এর কথা জানালাম। তখন তাঁরা আমাকে আয়িশা রা.-এর কাছে যে বিষয় নিয়ে পাঠিয়েছিলেন, তা নিয়ে পুনরায় উম্মে সালামা রা.-এর কাছে পাঠালেন। উম্মে সালামা রা. বললেন, আমিও নবী করীম সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম-কে তা নিষেধ করতে শুনেছি। অথচ তারপর তাকে তা আদায় করতেও দেখেছি। একদিন তিনি আসরের সালাতের পর আমার ঘরে তাশরীফ আনলেন। তখন আমার কাছে বনূ হারাম গোত্রের আনসারী কয়েকজন মহিলা উপস্থিত ছিলেন। আমি বাদীকে এ বলে তার কাছে পাঠালাম যে, তাঁর পাশে গিয়ে দাঁড়িয়ে তাকে বলবে, উম্মে সালামা রা. আপনার কাছে জানতে চেয়েছেন, আপনাকে (আসরের পর সালাতের) দু’রাকাআত নিষেধ করতে শুনেছি ; অথচ দেখছি, আপনি তা আদায় করছেন ? যদি তিনি হাত দিয়ে ইশারা করেন, তাহলে পিছনে সরে থাকবে, বাদী তা-ই করল। তিনি ইশারা করলেন, সে পিছনে সরে থাকল। সালাত শেষ করে তিনি বললেন, হে আবু উমায়্যার কন্যা ! আসরের পরের দু’রাকাআত সালাত সম্পর্কে তুমি আমাকে জিজ্ঞাসা করেছ । আবদুল কায়স গোত্রের কিছু লোক আমার কাছে এসেছিল। তাদের কারণে যুহরের পরের দু’রাকাআত আদায় করা থেকে ব্যস্ত হয়ে পড়েছিলাম। এ দু’রাকাআত সে দু’রাকাআত।