হাদীস নং ১০৩০
আবুল ইয়ামান রহ……..আবদুল্লাহ ইবনে উমর রা. থেকে বর্ণিত, তিনি বলেন, আমি নবী করীম সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম -কে দেখেছি, সফরে যখনই তাঁর ব্যস্ততার কারণ ঘটেছে, তখন তিনি মাগরিবের সালাত বিলম্বিত করেছেন, এমন কি মাগরিব ও ইশার সালাত একত্রে আদায় করেছেন। আবদুল্লাহ ইবনে উমর রা. সফরের ব্যস্ততার সময় অনুরূপ করতেন। অপর এক সূত্রে সালিম রহ. বলেন, ইবনে উমর রা. মুযদালিফায় মাগরিব ও ইশা একত্রে আদায় করতেন। সালিম রহ. আরও বলেন, ইবনে উমর রা. তাঁর স্ত্রী সাফিয়্যা বিনতে আবু উবাইদ -এর দুঃসংবাদ পেয়ে মদীনা প্রত্যাবর্তনকালে মাগরিবের সালাত বিলম্বিত করেন। আমি তাকে বললাম, সালাতের সময় হয়ে গেছে। তিনি বললেন, চলতে থাক। আমি আবার বললাম , সালাত ? তিনি বললেন, চলতে থাক। এমন কি (এ ভাবে) দু’ বা তিন মাইল অগ্রসর হলেন। এরপর নেমে সালাত আদায় করলেন। পরে বললেন, আমি নবী করীম সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম-কে সফরের ব্যস্ততার সময় এরূপভাবে সালাত আদায় করতে দেখেছি। আবদুল্লাহ রা. আরো বলেন, আমি নবী করীম সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম-কে দেখেছি, সফরে যখনই তাঁর ব্যস্ততার কারণ ঘটেছে, তখন তিনি মাগরিবের সালাত (দেরি করে) আদায় করেছেন এবং তা তিন রাকাআতই আদায় করেছেন। মাগরিবের সালাম ফিরিয়ে কিছু বিলম্ব করেই ইশার ইকামত দেওয়া হত এবং দু’রাকাআত আদায় করে সালাম ফিরাতেন। কিন্তু ইশার পরে গভীর রাত না হওয়া পর্যন্ত সালাত আদায় করতেন না।