বুখারি হাদিস নং ০৯৮৯ – সূর্যগ্রহণের সময় ইমামের খুতবা।

হাদীস নং ৯৮৯

ইয়াহইয়া ইবনে বুকাইর ও আহমাদ ইবনে সালিহ রহ…….. নবী করীম সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম-এর সহধর্মিনী আয়িশা রা. থেকে বর্ণিত, তিনি বলেন, নবী করীম সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম-এর জীবৎকালে একবার সূর্যগ্রহণ হলো। তিনি মসজিদে গমন করেন। বর্ণনাকারী বলেন, এরপর লোকেরা তাঁর পিছনে সারিবদ্ধ হলো। তিনি তাকবীর বললেন। তারপর নবী করীম সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম দীর্ঘ কিরাআত পাঠ করলেন। এরপর তাবীর বললেন এবং দীর্ঘক্ষণ রুকুতে থাকলেন। এরপর “সামিআল্লাহু লিমান হামীদাহ” বলে দাঁড়ালেন এবং সিজদায় না গিয়েই আবার দীর্ঘক্ষণ কিরাআত পাঠ করলেন। তবে তা প্রথম কিরাআতের চাইতে কম। তারপর তিনি ‘আল্লাহু আকবার’ বললেন এবং দীর্ঘ রুকু করলেন, তবে তা প্রথম রুকুর চাইতে অল্পস্থায়ী। তারপর তিনি বললেন : “সামিআল্লাহু লিমান হামীদাহ, রাব্বানা ওয়ালাকাল হামদ”। এরপর সিজদায় গেলেন। তারপর তিনি পরবর্তী রাকাআতেও অনুরূপ করলেন এবং এভাবে চার সিজদার সাথে চার রাকাআত পূর্ণ করলেন। তাঁর সালাত শেষ করার পূর্বেই সূর্যগ্রহণ মুক্ত হয়ে গেল। এরপর তিনি দাঁড়িয়ে আল্লাহর যথাযোগ্য প্রশংসা করলেন এবং বললেন : সূর্যগ্রহণ ও চন্দ্রগ্রহণ আল্লাহর নিদর্শন সমূহের মধ্যে দুটি নিদর্শন মাত্র। কারো মৃত্যু বা জন্মের কারণে গ্রহণ হয় না। কাজেই যখনই তোমরা গ্রহণ হতে দেখবে, তখনই ভীত হয়ে সালাতের দিকে গমন করবে। রাবী বর্ণনা করেন, কাসীর ইবনে আব্বাস রহ. বলতেন, আব্দুল্লাহ ইবনে আব্বাস রা. সূর্যগ্রহণ সম্পর্কে আয়িশা রা. থেকে উরওয়া রহ. বর্ণিত হাদীসের অনুরূপ বর্ণনা করেছেন। তাই আমি উরওয়াকে জিজ্ঞাসা করলাম আপনার ভাই (আবদুল্লাহ ইবনে যুবাইর) তো মদীনায় যেদিন সূর্যগ্রহণ হয়েছিল, সেদিন ফজরের সালাতের ন্যায় দু’রাকাআত সালাত আদায়ের অতিরিক্ত কিছু করেননি। তিনি বললেন, তা ঠিক, তবে তিনি নিয়ম অনুসারে ভুল করেছেন।