আমি কি এভাবে নিজেকেই কুরে কুরে খেয়ে ফেলে
বাহবা কুড়িয়ে যাবো দশদিকে? দ্যাখো,
এই ক্ষয়া আমাকে খুঁটিয়ে দ্যাখো। না, না,
অমন কষ্টের ভার স’য়ে যাওয়া আমার নিয়তি সুনিশ্চিত।
আসবে কি তোমরা আমার আস্তানায়? না, তেমন
বিড়ম্বনা হবে না পোয়াতে। দেখে যাও,
এখানে তেমন ভিড় নেই আসবাবপত্রের, কেবই কিছু
পছন্দের বইপত্র আছে। মাঝে মাঝে
চাইলে অথবা না চাইলে
কিয়দ্দূর থেকে ভেসে আসে বাঁশির মধুর সুর।
আমার বিনীত বারান্দার প্রায়ঃশই একটি বিড়াল এসে
বসে থাকে খাদ্যের আশায়। আমি ওকে
হামেশা আমার পাত্র থেকে মাছ, মাংস
কিংবা অন্য কোনও খাদ্য দিই ভালবেসে।
বেশ কিছুদিন পর লক্ষ্য করি, সেই
অতিথি আমার মানে বিড়ালটি আসে না আর; প্রশ্ন জাগে-
কোথায় হারিয়ে গেলো কোন্ ঝোপঝাড়ে? সে কি তবে
হয়েছে শিকার দ্রুত ধাবমান কোনও মোটর কারের?
জানতে পারিনি আজও কে বাজায় বাঁশি। সে কি সুখী?
নাকি কোনও গুপ্ত বেদনার ছায়া তাকে
রয়েছে দখল করে বহুদিন থেকে। ব্যক্তিগত
দুঃখের আঁচড়ে আমি যতদূর পারি
আড়ালেই রাখি। তবু বারান্দার সেই বিড়ালের
খাঁ খাঁ অনুপস্থিতির ছায়া শূন্যতাকে আরও গাঢ় ক’রে তোলে।
বেশ কিছুকাল পর ভুলে যাই চেনা বিড়ালের উপস্থিতি-
চেয়ারে হেলান দিয়ে বই পড়ি, কখনও টেবিলে
ঝুঁকে কোনও অসমাপ্ত কবিতার শেষ পঙ্ক্তিমালা
রচনায় ফের দরবেশ তুল্য ধ্যানী হয়ে যাই।
১১-১২-২০০৩