তোমার সৌজন্যে আমি কীটস্-এর হ্যাম্পস্টীডের দোতলা বাড়ি
পেয়ে গেছি চায়ের বাটিতে। তাড়াতাড়ি
যাচ্ছিলাম চ’লে, তুমি ‘এটা তোমার জন্যেই আনা
শ্বেতদ্বীপ থেকে’ ব’লে টানা
দু’টি কালো চোখ
রাখলে আমার চোখে। ঊনবিংশ শতাব্দীর হৈমন্তী আলোক
ছিলো চোখে, এবং আমার
রক্তের ভেতরে বুলবুলি গেয়ে ওঠে, কণ্ঠে যার
যুগযুগান্তের ফুল্ল ধ্বনি। মর্মমূলে ধন্যবাদ
জানাবার সাধ
মঞ্জরিত হয়, তবু কিছুই না ব’লে ঘরে থেকে
বিকেল শরীরে মেখে চকিতে বেরিয়ে পড়ি। তীক্ষ্ম যায় ডেকে
একটা কেমন পাখি, তুমি সেই প্রফুল্ল বিকেলে
কিছু পথ হেঁটে এসে কী ভেবে আবার ফিরে গেলে
শূন্যতায় ঢেউ তুলে,
যেন কিছু কোথাও এসেছো ফেলে ভুলে।
করতলে বাদামি কাগজে মোড়া কীটস,-এর বাড়ি নিয়ে ফিরি
ঘরে একা, সিঁড়ি
বেয়ে উঠি কালের কয়েদী; সত্তাময় শেকলের শব্দহীন
ধ্বনি বাজে; আর কতদিন
এভাবে কাটবে বলো তুমি হীনতায়? যদি বনে
গিয়ে করি বসবাস, তবে কি তোমাকে পাবো নিজের গহনে?
আমাদের দু’জনের কত রাত্রিদিন কত বাস হলো গত,
অথচ তোমাকে আমি এমনকি সৌজন্যবশত
হে সুন্দরীতমা, শোনো,
আমার ভাড়াটে ফ্ল্যাটে ডাকি না কখনো।।