বাড়িটা

বাড়িটা গভীর রাতে দেখেছিল বৃষ্টিপাত। ওর সারা গায়ে বর্ষার তুমুল ছাঁট, খুব
হিসহিসে হাওয়া ক্রমাগত
ক্ষ্যাপাটে ছোবল মারে। মাঠের ভেতরে
অন্ধকারে একলা বাড়িটা আরও বেশি
বাড়ি হয়ে ওঠে,
যেন পৃথিবীর আদি বাড়ি
কংক্রিটের অরণ্যের সংসর্গ ছাড়িয়ে
এই মাঠে থিতু।
এ-বাড়ি ছোঁবে না কাউকেই;
কোনো গূঢ় কথা, কারো ছায়া
ধরে রাখবে না কোনো দিন।
কতকাল থেকে বৃষ্টি, রৌদ্র আর বাতাসে বাড়িটা
পারিপার্শ্বিকের প্রতি উদাসীন আর
সন্ন্যাসীর মতো ধ্যানী।
কখনো সে কারো কারো শৈশব অথবা যৌবনের নিমগাছ
এ বাড়িটা কার? জানা নেই। ডুমুরের
গাছটা এখনও
আছে কি দাঁড়ানো এক কোণে? বাসিন্দারা
লেপ মুড়ি দিয়ে শুয়ে আছে,
কেউ কেউ হয়তো খাচ্ছে কফি, কেউবা পুরানো কথা
টেনে আনে,
অন্যজন দেয়ালের দিকে চোখ রেখে
চেয়ারে ভাস্কর্য এক চুপচাপ, পায়ে রাগ টানা,
কান পেতে বৃষ্টি শোনে একা,
বলার কিছুই নেই তার।