ওল্ড স্টেটমেন্ট
নিউ স্টেটমেন্ট
1 of 2

বংশাবলি ১ – ১২

১ দায়ূদ যখন কীশের পুত্র শৌলের ভয়ে গা ঢাকা দিয়েছিলেন তখন য়ে সমস্ত যোদ্ধারা সিক্লগে তাঁর কাছে এসেছিল এটি হল তাদের তালিকা। তারা দায়ূদকে যুদ্ধে সাহায্য করেছিল।
২ এঁরা য়ে কোন হাতেই তীর ছুঁড়তে পারতো, দু’হাতে গুলতিও চালাতে পারতো। এঁরা সকলেই বিন্যামীনের পরিবারগোষ্ঠীর সদস্য এবং শৌলের আত্মীয় ছিল।
৩ অহীযেষর ছিলেন এঁদের দলের নেতা, এছাড়াও এই দলে ছিলেন তাঁর ভাই য়োযাশ (এঁরা গিবিয়াতের শমায়ের পুত্র), অস্মাবতের পুত্র য়িষীযেল আর পেলট, অনাথোত শহরের বরাখা আর য়েহূ,
৪ গিবিয়োনের য়িশ্ামযিয (ইনি সেই ত্রিশ জন বীরের অন্যতম এবং তাদের অধ্যক্ষ ছিলেন।), য়িরমিয, য়হসীযেল, য়োহানন, গদেরাথের য়োষাবদ,
৫ ইলিযূষয, য়িরীমোত্‌, বালিয, শমরিয়, হরূফের শফটিয়,
৬ ইল্কানা, য়িশিয, অসরেল, য়োয়েষর, যাশবিযাম প্রমুখ কোরহ পরিবারগোষ্ঠীর যোদ্ধারা
৭ আর গদোর শহরের য়িরোহমের পুত্র য়োয়েলা আর সবদিয়।
৮ গাদ পরিবারগোষ্ঠীর একাংশও মরুভূমিতে দায়ূদের দুর্গে গিয়ে তাঁর সঙ্গে য়োগ দিয়েছিলেন। এরাও সকলেই সিংহের মত পরাএমশালী এবং কুশলী যোদ্ধা ছিলেন। বর্শা আর ঢাল নিয়ে যুদ্ধ করা ছাড়াও এঁরা সকলেই পাহাড়ী পথে হরিণের মত দৌড়তে পারতেন।
৯ গাদ পরিবারগোষ্ঠীর এই দলের নেতা ছিলেন এষর; দ্বিতীয় ওবদিয এবং তৃতীয় ইলীয়াব।
১০ চতুর্থ মিশ্ামন্না, পঞ্চম য়িরমিয,
১১ ষষ্ঠ অত্তয, সপ্তম ইলীযেল,
১২ অষ্টম য়োহানন, নবম ইল্সাবাদ,
১৩ দশম য়িরমিয আর একদশ মগ্বন্নয।
১৪ এঁরা সকলেই গাদীয সেনাবাহিনীর সেনাপতি ছিলেন এবং এই দলের দুর্বলতম ব্যক্তিও একাই ১০0 জনের সঙ্গে যুদ্ধ করার ক্ষমতা রাখতেন। দলের সর্বাপেক্ষা যিনি শক্তিমান ছিলেন তিনি একা ১,000 জনের মোকাবিলা করতে পারতেন।
১৫ গাদ পরিবারগোষ্ঠীর এই সমস্ত সৈনিকরা বছরের প্রথম মাসে, যখন যর্দন নদীতে প্রবল বন্যা হচ্ছে সে সময়ে নদী পার হয়ে উপত্যকার লোকদের পূর্ব ও পশ্চিমে তাড়িয়ে নিয়ে গিয়েছিলেন।
১৬ বিন্যামীন ও যিহূদা পরিবারগোষ্ঠীর অন্যান্য ব্যক্তিরাও দুর্গে এসে দায়ূদের সঙ্গে য়োগ দিয়েছিলেন।
১৭ দায়ূদ তাঁদের সঙ্গে দেখা করে বললেন, “আপনারা যদি শান্তিতে আমাকে সাহায্য করতে এসে থাকেন তাহলে আমি আপনাদের সকলকে স্বাগত জানাচ্ছি। কিন্তু আমি কিছু অন্যায় না করা সত্ত্বেও আপনারা যদি আমার প্রতি বিশ্বাসঘাতকতা করতে এসে থাকেন তাহলে আমার পূর্বপুরুষদের ঈশ্বর য়েন তা দেখেন এবং আপনাদের শাস্তি দেন।”
১৮ অমাসয় ছিলেন সেই তিরিশ জন বীরের নেতা। তখন আত্মার ভর হলে তিনি বলে উঠলেন:“দায়ূদ আমরা তোমার পক্ষে। আমরা তোমার সঙ্গে আছি। হে য়িশযের পুত্র- শান্তি! তোমার শান্তি হোক। এবং যারা তোমায় সাহায্য করে তাদের শান্তি হোক। কারণ তোমার ঈশ্বর তোমায় সাহায্য করেন।”দায়ূদ তখন এই সমস্ত ব্যক্তিকেই তাঁর দলে স্বাগত জানিয়ে, তাঁদের ওপর নিজের সেনাবাহিনীর দায়িত্ব দিলেন।
১৯ মনঃশি পরিবারগোষ্ঠীর অনেকেই দায়ূদ যখন পলেষ্টীয়দের সঙ্গে শৌলের বিরুদ্ধে যুদ্ধ করতে গিয়েছিলেন তাঁর সঙ্গে য়োগ দিয়েছিলেন। তবে পলেষ্টীয় নেতাদের আপত্তি থাকায় শেষ পর্য়ন্ত দায়ূদ শৌলের বিরুদ্ধে যুদ্ধে পলেষ্টীয়দের সাহায্য করেন নি। এই সমস্ত পলেষ্টীয় নেতারা বলেছিল, “দায়ূদ যদি তাঁর মনিব, শৌলের কাছে ফিরে যান তবে আমাদের মুণ্ড কাটা পড়বে।”
২০ মনঃশি পরিবারগোষ্ঠীর য়ে সমস্ত ব্যক্তি সিক্লগ শহরে এসে দায়ূদের দলে য়োগ দিয়েছিলেন, তাঁরা হলেন- অদ্ন, য়োষাবদ, য়িদীযেল, মীখায়েল, য়োষাবদ, ইলীহূ আর সিল্লথয। এঁরা সকলেই মনঃশি পরিবারে সৈন্যাধ্যক্ষ ছিলেন।
২১ অসত্‌ ব্যক্তিদের বিরুদ্ধে যুদ্ধে তাঁরা দায়ূদকে সাহায্য করেছিলেন। এই সমস্ত অসত্‌ ব্যক্তিরা সারা দেশে সুয়োগ সুবিধে মত চুরি-চামারি চালিযে যাচ্ছিল। মনঃশি পরিবারের বীর যোদ্ধারা দায়ূদের সেনাবাহিনীর নেতায পরিণত হয়েছিলেন।
২২ প্রতি দিন দলে দলে লোক এসে দায়ূদের পাশে দাঁড়ানোয এমশঃ তিনি এক সুবিশাল ও শক্তিশালী সেনাবাহিনী গড়ে তুললেন।
২৩ এই সব ব্যক্তিবর্গ যাঁরা হিব্রোণ শহরে দায়ূদের সঙ্গে য়োগ দিয়েছিলেন এবং যুদ্ধ করার জন্য প্রস্তুত ছিলেন এবং প্রভু যা বলেছিলেন সেই অনুযায়ীশৌলের রাজধানী দায়ূদের হাতে তুলে দিতে চেয়েছিলেন, তাঁরা সংখ্যায় হলেন নিম্নরূপ:
২৪ যিহূদা পরিবারগোষ্ঠীর ৬,৮০0 জন কুশলী ও তত্‌পর যোদ্ধা। এঁরা সকলেই বর্শা ও বল্লমধারী ছিলেন।
২৫ শিমিযোনের পরিবারগোষ্ঠীর ৭,১০0 জন বীর যোদ্ধা ছিলেন।
২৬ লেবি পরিবারগোষ্ঠীর ৪,৬০0 জন।
২৭ হারোণ বংশের নেতা যিহোয়াদাও ৩,৭০0 জন নিয়ে এই দলে য়োগ দিয়েছিলেন।
২৮ এছাড়া পরিবারের আরো ২২ জন নেতাসহ য়োগ দিয়েছিলেন সাহসী ও তরুণ সেনা সাদোক।
২৯ শৌলের আত্মীয় এবং তখনও পর্য়ন্ত তার প্রতি অনুগত বিন্যামীন পরিবারগোষ্ঠীর ৩,000 জনও য়োগ দিয়েছিলেন এই দলে।
৩০ ইফ্রয়িমের পরিবারগোষ্ঠী থেকে এসেছিলেন ২০,৮০0 জন বীরযোদ্ধা। তারা তাদের পরিবারে বিখ্যাত ছিল।
৩১ মনঃশি পরিবারগোষ্ঠী থেকে এসেছিলেন ১৮,000 জন দায়ূদকে রাজা বানাতে।
৩২ ইষাখরের পরিবার থেকে আত্মীয়সহ এসেছিলেন ২০0 জন প্রাজ্ঞ নেতা। তাঁরা হলেন সেই সব লোক যাঁরা ইস্রায়েলের মঙ্গলের জন্য কখন কি করা প্রয়োজন তা ভাল ভাবেই বুঝতেন।
৩৩ সবূলূনের পরিবারগোষ্ঠী থেকে য়োগ দিয়েছিলেন সর্বাস্ত্রে পারদর্শী ৫০,000 জন কুশলী যোদ্ধা। এঁরা সকলেই দায়ূদের একান্ত অনুগত ছিলেন।
৩৪ নপ্তালির পরিবারগোষ্ঠী থেকে ১,000 অধ্যক্ষ ছিল। তাদের সঙ্গে ৩৭,000 ব্যক্তি ছিল। তারা বর্শা ও ঢাল নিয়ে এসেছিলেন।
৩৫ দান পরিবারগোষ্ঠী থেকে এসেছিলেন ২৮,৬০0 জন রণ-কুশলী যোদ্ধা।
৩৬ আশের পরিবারগোষ্ঠী থেকেও রণ-কুশলী ৪০,000 জন এসেছিলেন।
৩৭ এবং যর্দন নদীর পূর্বদিক থেকে রূবেণ, গাদ ও অর্ধেক মনঃশি পরিবার মিলিয়ে মোট ১,২০,000 ব্যক্তি বিভিন্ন রকমের অস্ত্র-শস্ত্র নিয়ে এই দলে য়োগ দিয়েছিলেন।
৩৮ এই সমস্ত বীর যোদ্ধারা দায়ূদকে ইস্রায়েলের রাজা করতে দৃঢ় প্রতিজ্ঞ হয়ে হিব্রোণে এসেছিলেন। ইস্রায়েলের অবশিষ্ট লোকদেরও এই প্রস্তাবের প্রতি সমর্থন ছিল।
৩৯ এঁরা সকলে হিব্রোণে দায়ূদের সঙ্গে তিন দিন পানাহার করে ও তাঁদের আত্মীয়-পরিজনের বানানো খাবার-দাবার খেয়ে কাটালেন।
৪০ ইষাখর, সবূলূন ও নপ্তালি পরিবারগোষ্ঠীরা উট, ঘোড়া, গাধা ও ষাঁড়ের পিঠে চড়িযে মযদা, ডুমুরের পিঠে, কিস্মিস্, দ্রাক্ষারস, তেল, ছাগল এবং মেষ প্রভৃতি এনেছিলেন। ইস্রায়েলের সকলেই খুব খুশী হয়েছিলেন।