নিজেকে ভোরবেলা কেমন ফাঁকা লাগে,
দুপুরে ক্ষণে ক্ষণে হৃদয় করে ধু ধু,
বিকেলে ঝরা পাতা গুমরে ওঠে মনে,
অসিত রাতে বোবা আর্তনাদ শুধু।
তোমার বিরূপতা তীক্ষ্ণ শর হলে,
শক্র ঘেরা দিনে কীভাবে বলো বাঁচি?
আহত জন্তুর মতোই এক কোণে
আঁধার চোখে নিয়ে একলা পড়ে আছি।
ভাবিনি তুমি এত কঠোর হতে পারো,
তোমার কথা আজ এসিড অবিরত।
তোমার আচরণ তর্জমাতে হয়-
ইঁদুর মুখে নিয়ে বেড়াল ক্রীড়ারত।
আমাকে মোচড়ানো সহজ অতিশয়,
কেন না আমি দিগ্ভ্রান্ত পথচারী।
ভ্রষ্ট স্মৃতি নিয়ে চলাই হলো দায়,
অপরাধের বোঝা ক্রমশ খুব ভারী।
দুর্বিপাকে আজও তোমাকে শুধু চাই-
এটাই সারকথা, তা ছাড়া বাদবাকি
তুচ্ছ জানি আর আমার ব্যাকুলতা
ভেবো না প্রিয়তমা সিগারেটের ছাই!
যতই তুমি আজ ক্রোধের বশে এই
কবির অন্তরে ফোটাও কালো হুল,
সইব দংশন, আঁচড় মুখ বুজে,
বুঝবে একদিন তোমারই ছিল ভুল।