সে এক ভ্রামণিক, অনেক পথের স্মৃতি তাকে
কখনো আনন্দিত, কখনো বা
বিষণ্ন, উদাসীন ক’রে তোলে। একদিন সে আখেরে এসে
পৌছলো এক প্রান্তরে। এমন ধূসর জায়গা অন্তর্গত নয়
তার অভিজ্ঞতায়। উপরে তাকিয়ে দ্যাখে,
খরা-দীর্ণ জমিনের মতো আসমান, পায়ের তলায়
অসমান রুক্ষ মাটি আর তখুনি নিজেকে
লোলচর্ম বৃদ্ধের প্রতিনিধি ব’লে শনাক্ত করলো।
কে যেন খুব কাছে থেকে নির্বিকার কণ্ঠে বললো,
তোমার রসনা, যা বহুকাল আস্বাদন করেছে
চর্ব চোষ্য লেহ্য পেয়, এখন থেকে বঞ্চিত হবে স্বাদ থেকে।
তোমার দু’টি চোখ, যারা এতকাল দেখেছে আকাশের
তারা, নদীর খরস্রোত, বনরাজি নীলা, পাখির উড়াল,
নারীর সৌন্দর্য, এখন থেকে
হারিয়ে ফেলবে জ্যোতি। তোমার নিকট থেকে
প্রত্যাহার করা হলো রতিক্রিয়ার
আনন্দানুভূতি; ভ্রামণিক প্রত্যাহারের
প্রতিটি তীরের যন্ত্রণা সহ্য করলো মুখ বুঁজে।
যখন সেই নির্বিকার কণ্ঠে উচ্চারিত হলো,
এখন প্রত্যাহার করা হবে
তোমার ভালোবাসবার ক্ষমতা,
সেই মুহূর্তে প্রতিবাদে ফেটে পড়লো
বুড়োসুড়ো ভ্রামণিক, ‘না, তা আমি মেনে নেবো না।
নারী, নিসর্গ, সারা বিশ্বের মানুষের প্রতি
আমার নিবিড় ভালোবাসার ক্ষমতা
কাউকেই কেড়ে নিতে দেবো না। ব’লে দিচ্ছি, কিছুতেই না।
১৬/৩/৯৫