প্রতিরোধ করবার পালা

এ নিয়ে কমসে কম সাত আটবার
মাটিতে পড়েছি মুখ থুবড়ে, অথচ কিছুতেই
ঝিমুনি যাচ্ছে না চোখ থেকে। এদিকে যে শরীরের
কোনও কোনও অংশ থেকে
ঝরছে রক্তের ফোঁটা, টলছে পা দু’টো,
সেদিকে খেয়াল নেই। তবে বেশ বুঝতে পারছি,
ডান বাম দু’দিক থেকেই বেধড়ক খাচ্ছি মার
বারবার, এ নিয়ে কমসে কম সাত আটবার।

আমার কসুর কী-যে বুঝতে পারিনি।
কখনও দিইনি ছাই কারও বাড়া ভাতে, কিংবা কারও
ওপরে ওঠার সিঁড়ি সরিয়ে ফেলিনি ঠাট্রাচ্ছলে,
অথবা ঈর্ষায় পুড়ে। আমি তো আপন মনে শুধু
একা ঘরে বাজিয়েছি বাঁশি
জ্যোৎস্না রাতে এবং নিঝুম অন্ধকারে। কারও কোনও
ক্ষতি করবার সাধ্যি নেই
এই বংশীবাদকের জেনেও যে যার খুশি মতো
কিল ঘুষি চড়
করেছে বর্ষণ রোজ আমার ওপর।

এতকাল পর যেন কোনও জাদুবলে
আখেরে আমার চোখ থেকে ঝরে গেছে
ঝিমুনি এবং আমি আর
মাতালের মতো টলছি না, পড়ছি না
মাটিতে কিছুতে কোনও আক্রমণে। এবার আমার
জেগে ওঠবার, কিল চড় ঘুষি প্রতিরোধ করবার পালা।
১২.১২.৯৮