গহন কুয়াশা ফুঁড়ে ক’জন
মানুষ স্পষ্টালোকে
এসে যায়, তাকায় এ ওর
দিকে, হাসি
ফোটে সকলের ঠোঁটে। ওরা
দেখেছে অনেক গৃহদাহ,
দেখেছে মানুষ কত
সহজে চালায় ছুরি মানুষের
বিপন্ন গলায়,
নারী লুণ্ঠনের কৃষ্ণ উৎসবও
তাদের
দেখতে হয়েছে বার বার
অসহায়
প্রহরে বলির পাঠা হ’য়ে।
এখন সহজে তারা একই
পাত্রে ভাগ ক’রে খেতে
পারে একই খাবার প্রত্যহ,
কুণ্ঠাহীন
নামের পদবী বদলের
বেলায়; ফলত সাহা রাহমান
আর খান গুণ
হ’য়ে যায়। অথচ ওদের
চোখগুলো
চোখই থাকে, নাক মুখ
অবিকল আগের মতোই
রয়ে যায়; নিশ্বাস প্রশ্বাসে নেই
কোনো হেরফের, যে-প্রেম
ওদের
প্রবল উদ্বেল করে, তার
কোনো গোত্র নেই, নেই
কোনো
আলাদা পদবী। অগ্নিশুদ্ধ
হ’য়ে, দীর্ঘকাল ঘন
কুয়াশায় হেঁটে হেঁটে ওরা
আজ প্রকৃত মানব।
১৭.২.৯৪