‘এখানে জিরিয়ে নেই কিছুক্ষণ’ বলে এক শ্রান্ত রাহাগীর
গাছের সুবজ ছায়া নিজের শরীরে
মেখে নেয়; পাখি উড়ে গেল
পাতার আড়াল থেকে, অথচ লোকটা
নির্দয় নিষাদ নয় কোনো। হাতে তার
মারণাস্ত্র নেই, চেহারাও কর্কশতা হীনতার
ছাপ নয়; বরং দু’চোখে তার খেলা করে জ্যোতি,
মানবিক বোধ যার নাম।
আপাতত পথক্লেশে অবসন্ন সেই রাহাগীর
কোমল বিশ্রামপ্রার্থী, আঁজলায় ভরে নিতে চায়
শান্তিজলে অবিরল। ঝরা পাতাদের
কেমন রহস্যময়পথক্লেশে অবসন্ন সেই রাহাগীর
কোমল বিশ্রামপ্রার্থী, আঁজলায় ভরে নিতে চায়
শান্তিজলে অবিরল। ঝরা পাতাদের
কেমন রহস্যময় গান শুনে চোখ বুঁজে আসে।
তার, স্বপ্নাচ্ছন্নতায় সমস্ত শরীর
যেন কোনো ইন্দ্রজালে বন্দি হয়; মাথার গুহায়
ধ্বনি প্রতিধ্বনি জাগে বারবার, অতিকায়
একটি বেড়াল তাকে তাড়া করে, সারা মুখে বেড়ালের থাবা
সেঁটে থাকে ভয়ঙ্কর ভাবে,
রক্ত ঝরে, বোবা যন্ত্রণায় দুমড়ে মুচড়ে যায়
সত্তা; স্বপ্ন, মূলত দুঃস্বপ্ন,
তাকে কালো পাচনের বিরাট হাঁড়িতে
হঠাৎ নিক্ষেপ করে, প্রস্পেরোর অনুগত এরিয়েল এসে
উদ্ভ্রান্ত মানুষটিকে ভীষণ দেখায় ভয়। মিরান্দা কোথায়?
অকস্মাৎ মহুয়া, নদেরচাঁদ কংসাই নদীর ধারে হাত
ধরাধরি ক’রে হাঁটে, হুমরা বেদের বিষছুরি
আঁধারে ঝলসে ওঠে, রাহাগীর স্বপ্নের ভিতরে বুকচেরা
আর্তনাদ ক’রে কম্পিত শরীরে চোখ মেলে
নিভৃতে শুনতে পায় ‘এই দেশে উইড়া আইছে দেহি আমার আপন
তোতা পাখি। পথের আহ্বান তবু জোয়ারের জল!