ইদানীং এই স্বপ্ন অনাহূত অতিথির মতো
হুট করে চলে আসে আমার নিদ্রার কুয়াশায়,
দাঁড়ায় কোমরে হাত রেখে খাস খোলা
দরজায় নির্দ্বিধায়। ঠোঁটে তার কৌতুক মেশানো
হাসি খেলা করে, যেন সেই মৃদু হাসি
একটি কাহিনী ঠোঁটে ঝুলিয়ে রেখেছে,
যা বলার তাগিদে এখানে এসে পড়ে
বারবার বিনা আমন্ত্রণে। আছে তার অলিখিত অধিকার।
এ স্বপ্নের জিভ গল্পময় আরব্য হাজার এক রজনীর
শাহেরজাদীর মতো। অনর্গল বলে সে আমার
কবিতার কথা, বলে-অম্লান জীবনানন্দ, পল এলুয়ার,
ইয়েটস্ ফেলেছেন নিরিবিলি ছায়া
আস্তেসুস্থে বিমুগ্ধ প্রহরে
আমার অজ্ঞাতে অধমের কোনও কোনও কবিতায়।
নেমকহারাম নই, করবো না অস্বীকার। এ-ও তো বলেন
গুণীজন-কোনও কোনও কবিতা হতেই পারে অন্য কবিতার
জন্মভূমি, লালিত হতেই পারে কিছু
নিজস্ব বৈশিষ্ট্যসহ। এ নিয়ে চায়ের পেয়ালায় নিরর্থক ঝড় তোলা।
কয়েক মুহূর্ত পরে সতেজ শরীর থেকে সব ঝরাপাতা ঝেড়ে ফেলে
জেগে ওঠে স্বপ্নের আলাদা অংশ নতুন আলোয়-
এ স্বপ্ন আমারই সত্তা, লাফিয়ে উঠেছে কণ্ঠে তার
মায়াবী সুরের এক দীপ্তিময় পাখি যার দু’টি
চোখে ক্ষণে ক্ষণে খেলে যায় সত্যের বিদ্যুৎ, কণ্ঠে
ঝলসিত কী উদাত্ত উচ্চারণ, ‘আমি কারও প্রতিধ্বনি নই।
আমাকে সমীহ করো আর না-ই করো,
যতই সামান্য হই, তবুও অনন্য সর্বদাই।
২৯.৬.২০০০