এই যে নিজের সঙ্গে তুমুল ঝগড়া করি, বড় বদরাগী
দুপুরের সঙ্গে চোখ রাঙাই খামোকা
বারবার, তবুও দুপুর কমায় না তাপ তার। আমি শেষে
হাল ছেড়ে বিকেলের প্রতীক্ষায় থাকি। আসবে কি আর কেউ?
বিকেল কি সত্তার সুঘ্রাণে তার বাগানের রূপ পেয়ে
দুজনের মিলনের কুঞ্জ হয়ে উঠবে চকিতে? অকস্মাৎ
একটি উন্মত্ত পশু আমাকে থাবায় বিদ্ধ করে
নীরেট আঁধারে ঘষটাতে ঘষটাতে ছিঁড়ে খাবে অবশেষে।
‘আমাকে বাঁচাও’ বলে চেঁচালেও কিছুতেই
আসবে না কেউ পশুটিকে তাড়িয়ে আমাকে দ্রুত
বাঁচাতে পাশব স্বৈরাচার থেকে আর
নির্ঘাৎ পতন থেকে। কতিপয় অমানুষ নিয়ে যাবে ক্রমে
বিদ্ধ করে আমাকেই, রক্ত অবিরত ঝরে, যেন জীবনের
আলো নিভে যায় শেষে। কৌতূহলী কিছু চোখ সে-দৃশ্য দেখবে।
কে আমি, যে হাঁটে পথে একা একা আর আচমকা
চেয়ে দ্যাখে গাছপালাহারা এবড়ো-খেবড়ো এক
জমিনে দাঁড়িয়ে আছে জনহীনতায়? এক ঝাঁক জাঁহাবাজ
ক্ষ্যাপা পাখি ঝাঁপিয়ে পড়ছে তার ভয়ার্ত সত্তায়।
মাঝে মাঝে যখন একলা বসে থাকি নিজ ঘরে,
প্রশ্ন জাগে, এই যে এখনও বেঁচে আছি এ শহরে
এই মাটি, এই গাছ-পালা, নদী-নালা,
এই শ্বাসরুদ্ধকর পরিবেশে নিত্য দ্বিপ্রহর অমাবস্যা-রাত
মনে হয় সর্বদা যেখানে, যে-দেশের জন্য আত্মদান
করেছেন শহীদেরা।
০১-০১-২০০৩