ধ্রুবপদ

বহুক্ষণ বসে আছি অন্ধকার ঘরে, ধারে কাছে কেউ নেই,
এরকম আন্ধারের কথা
জীবনানন্দের কবিতায়
অনেক পড়েছি আর সীমাহীন রহস্যময়তা
গূঢ় অনুভব করে নিজেরই ভেতর
হয়েছি অক্লান্ত পর্যটক। ত্র্যাশট্রেতে
পড়ে আছে চুরুটের বাসি ছাই। নাকি সুদূরের
নক্ষত্রের ছাই?

যখন এ-ঘরে ছিলাম না,
কেউ কি এখানে এসেছিল? নইলে কেন
এই বাসি ছাই, কেন আমার লেখার প্যাড এমন নির্লজ্জ
খোলা পড়ে আছে টেবিলের বুকে আর
একটি অচেনা পুঁথি আমাকে ইঙ্গতে কাছে ডাকে
বারবার? একটু পরেই একজন
দরজায় দাঁড়ালেন একতারা হাতে। আমাকে জিজ্ঞাসু দেখে
বলেন ঈষৎ হেসে তিনি, ‘আমি লালন ফকির। ও পড়শী
ধ্রুবপদ রচনায় কতদূর পারবে তুমি সিদ্ধির ভুবনে
হেঁটে যেতে, এসেছি পরখ করে নিতে।