বয়স আমার চল্লিশ হল
এবং তোমার থরোথরো ষোলো।
কৃতী নই কোনো, আমি অভাজন;
অনেক আশায় নষ্ট গাজন।
কলেজের বাস ক’টি বসন্ত
নিয়ে থামলেই মাঝে মাঝে দেখি।
তোমার জুতোর খুরে ওড়ে কাল,
হৃদয় স্মৃতির জোছনায় সেঁকি।
হঠাৎ কখনো তোমার গালের
রক্তাক্ত দেখে লাগে বড় চেনা-
যেন তা ট্রয়ের সূর্যাস্তের
অতীব বিধুর মেঘেদের ফেনা।
তোমার ও-মুখমণ্ডল দেখে
মনে পড়ে আরও দৃশ্য ভিন্ন,
এক লহমায় মনে প’ড়ে যায়
নভোচারীদের পায়ের চিহ্ন।
একদা তোমার বয়স যখন
পাঁচটি চাঁপার মতো অবিকল,
দেখেছি সেদিন তুমি কচি দাঁতে
কামড়ে কামড়ে খেতে কত ফল।
আজও অবশ্য শুভ্র দাঁতের
ধারে ছিঁড়ে নাও ফলের চামড়া
এবং মাংস। শুধু তাই নয়,
আরও কিছু কথা জেনেছি আমরা।
তোমার তীক্ষ্ণ দাঁতের ফলায়
ক্ষতবিক্ষত রক্তগোলাপ;
বাঘিনীর মতো ঠোঁট চাটো আর
দু’পায়ে মাড়াও পাখির বিলাপ।
তোমার দাঁতের শরশয্যায়
বুক পেতে দিয়ে সুখ যারা চায়,
সেই গোষ্ঠীর আমি নই কেউ;
মজ্জা চাটছে বয়সের ফেউ।