এইতো অতি নিকট কালেও তোমার কাছে
ছুটে যেতাম নেচে ওঠা হৃদয় নিয়ে
হরহামেশা প্রীতিঘেরা এক নিবাসে।
তোমার পায়ের পাতা পড়তো আমার ঘরে,
ফুল্ল আমার হৃদয়পুরে।
তোমার দীপ্তি হাসির ছটায় স্টাডি আমার
প্রায় রোজনা ক্ষণে ক্ষণে
হতো নিবিড় উদ্ভাসিত।
তোমার স্নিগ্ধ চোখ-জুড়ানো রূপের জ্যোতি
পথ দেখাতো রুক্ষ এবং হিসহিসে সব অন্ধকারে।
কিছুকালের মধ্যে যেন একটি দেয়াল
উঠল গড়ে কার খেয়ালে,
তোমার পায়ের ছাপ পড়ে না একটি দিনও
আমার ডেরায়, তুমি ভীষণ দূরে থাকো।
তোমায় দেখার তৃষ্ণা আমার বালির ঝড়ে,
তোমার নানা বিরূপতায় পায় যে আরও প্রখরত।
তবু তোমার পাই না দেখা কোনও মতে,
প্রেত-প্রেতিনী আমার মনের কবর থেকে খুঁড়ে খুঁড়ে
হিঁচড়ে আনে ক’খানা হাড় মাথার খুলি।
পচা গন্ধে বমি আসে, মুখ ফিরিয়ে দিই উগরে কিছু স্মৃতি।
ভয়-দেখানো অনেক ছায়ার ভূতুড়ে সব খেলা দেখে,
শ্যামল ছায়ার বাগানজোড়া পুষ্পশোভার স্মৃতি এখন
নতুন করে বাঁচার তীব্র ইচ্ছেদ্যুতি আমার মতো
হৃদরোগীকে মাতাল ছন্দে নাচিয়ে তোলে বারংবার।
তোমার নরম হাতের ছোঁয়া আমার শিরায়
ফসলভরা নৌকা ভাসায়, নতুন বিশ্ব গড়ার স্বপ্ন
জাগায় গুণীর জ্ঞানের মতো এবং দেখি
আমার মদির আলিঙ্গনে তোমার চোখে স্বর্গ কাঁপে।
২৪.১১.৯৯