একদিন প্রিয় মুখ, গাছপালা, ফুল
রোদ, জ্যোৎস্না, বৃষ্টিধারা, বইপত্র হঠাৎ দু’চোখ
থেকে মুছে যাবে; শুনব না কারও কথা,
পদধ্বনি, কোকিলের কুহু তান, দোয়েলের শিস,
রবীন্দ্রসঙ্গীত। শুধু কারও কারও ঠোঁটে
কখনও হয়তো মৃদু নেচে উঠবে আমার নাম, জানব না।
লেখাপত্র ধূসরিমা নিয়ে
থাকবে ফাইলবন্দি দেরাজের নিবিড় আঁধারে,
বইগুলো ধুলোম্লান থাকবে এবং
কলম গোপনে অশ্রুপাত
করে করে গুমরে মরবে স্তব্ধতায়। কেউ কি কখনও ভুলে
তুলে নেবে সেই শীর্ণ নিভৃত কলম?
থাকব না এই ঘরে, টেবিলে ঈষৎ ঝুঁকে লিখব না আর,
আসবে না ঘন ঘন চায়ের পেয়ালা
অথবা সংবাদপত্র পোহাবে না রোদ বিছানায়।
তাব না, তাতে কী? ভোরের আবর্জনাময় পথে
একটি গোলাপ দিব্যি হাসিমুখে থাকবে এবং
ছেলেমেয়েদের দল ছুটে যাবে শিউলি কুড়াতে
এবং শ্রাবণ পূর্ণিমায়
যুবক শোনাবে যুবতীকে প্রেমকথা নিরিবিলি।